কারিগরি-জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা হবে, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ছাড়া মূল্যায়ন সম্ভব নয়।  একই সঙ্গে, কারিগরি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার জন্য জোর প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।  তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের এটি চূড়ান্ত একটি পরীক্ষা।  তাই তাদের (শিক্ষার্থী) যদি সঠিকভাবে মূল্যায়ন না হয়, তাহলে পরবর্তীতে চাকরি বা কর্মসংস্থানে তাদের সমস্যা হতে পারে।  আর কারিগরি শিক্ষার্থীদের বিশেষ মূল্যায়নের সুযোগ নেই।  কারণ তাদের প্রায়োগিক বিভিন্ন পরীক্ষা রয়েছে।  যেগুলোর হাতে-কলমে নেয়া জরুরি।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।  তিনি বলেন, ‘অনেকে অনুরোধ করছেন, এইচএসির মতো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং কারিগরি শিক্ষার্থীদের পাস করানোর জন্য।  আবার অনেকে অটোপাস চান না বলেও জানিয়েছেন।  কেউ কেউ বলছেন, তারা (শিক্ষার্থীরা) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যে পাঁচটি পরীক্ষা দিয়েছেন, সেই পরীক্ষার ভিত্তিতে তাদেরদের রেজাল্ট দিয়ে দিতে।  কিন্তু এটি চূড়ান্ত একটি পরীক্ষা।  শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ছাড়া মূল্যায়ন হলে পরবর্তীতে চাকরি বা কর্মসংস্থানে সমস্যা হতে পারেন’।
কারিগরির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এইচএসসির ক্ষেত্রে আমরা অনেক মাস অপেক্ষা করেছি, তারপর বাধ্য হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।  কিন্তু পলিটেকনিকের বিষয়টা ভিন্ন।  কারণ এদের প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার প্রয়োজন আছে।  এক্ষেত্রে যদি তারা সঠিকভাবে মূল্যায়ন না হয়, তবে পরবর্তীতে চাকরি বা কর্মসংস্থানে তাদের সমস্যা হতে পারে’।
ডা. দীপু মনি বলেন, ‘এই জায়গায় পরীক্ষা ছাড়া মূল্যায়ন করাটা মনে হয় না সঠিক হবে।  পরিস্থিতি যা আমরা এখনো মনে করছি, পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হবে।  যেহেতু এইচএসসির তুলনায় কারিগরিতে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনেক কম, সেহেতু পরিস্থিতি বিবেচনায় তাদের এই পরীক্ষা আমরা নিয়ে নিতে পারব।  সে বিষয়ে পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়া হবে’।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহাবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুকসহ বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ