চীনের মতো একটা ঘটনা ঘটাতে হবে : মির্জা ফখরুল

ফাইল ছবি

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
দেশের রাজনীতিতে স্বস্তি ফেরাতে ‘ চীনের মতো একটা ঘটনা ঘটাতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রবিবার (১০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে মওলানা ভাসানীর লেখা ও আব্দুল হাই শিকদার সম্পাদিত ‘মাও সে-তুং-এর দেশ’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘মওলানা ভাসানী, জিয়াউর রহমান এবং তারও পূর্বে যাদের অবদান আছে, তাদের স্মরণ করে, তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করে একটা ঘটনা ঘটাতে হবে।  চীনের মতো একটা বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলতে হবে।  তাহলেই আমরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারব’।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অবস্থা এখন দুঃসহ।  অস্বাভাবিক দুঃসহ যন্ত্রণায় এখন বাংলাদেশের মানুষ।  এই দুঃসহ যন্ত্রণা থেকে মানুষ মুক্তি চায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে বাংলাদেশে শোষণ ছাড়া কিছু নেই।  প্রতিটা ক্ষেত্রে শোষণ, লুণ্ঠন।  আমাদের পূর্ব পুরুষেরা- মওলানা ভাসানী, শেখ মুজিবুর রহমানরা ব্রিটিশ শাসন থেকে বেরিয়ে এসে পাকিস্তান করেছিলেন।  আমরা যুদ্ধ করে বাংলাদেশ করেছি।  এখনকার প্রজন্ম যারা আছে, তাদের দায়িত্ব এই বাংলাদেশকে বাসযোগ্য করা।  বাংলাদেশের মানুষের অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে, পরিবর্তন আনেতে হবে।  আমাদেরকে মুক্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে।  কোন পথে গেলে মুক্তি হবে, সেটা খুঁজতে হবে।  আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।  সেই অধিকার আমরা প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, আমরা উদারনৈতিক গণতন্ত্রে (লিবারেল ডেমেক্রেসি) বিশ্বাস করি।  আমরা নির্বাচনে বিশ্বাস করি। সেই নির্বাচন কীভাবে হবে, সেটি পরিষ্কার করতে হবে।  আকবর আলী খান কিন্তু বিএনপি করেন না।  তিনি গতকাল বলেছেন- তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।  এটি কেবল উনার কথা না, সবার কথা।  আজ পাকিস্তানে এত টালমাটাল অবস্থার মধ্যেও নির্বাচন হবে।  তো নির্বাচন কার অধীনে হবে?  তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে।  ওখানে একজন সাবেক প্রধান বিচারপতিকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী করা হবে নির্বাচন করার জন্য।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার মওলানা ভাসানীকে স্বীকার করতে চায় না।  এই মহান নেতা, যিনি বাংলাদেশের মানুষের জন্য, দরিদ্র মানুষের জন্য, খেটে খাওয়া মানুষের জন্য সারাটা জীবন কাজ করেছেন।  তিনি আসামে আন্দোলন করেছেন সাধারণ মানুষের জন্য, বাংলাদেশে আন্দোলন করেছেন জমিদারি প্রথার বিরুদ্ধে।  এক সময় তিনি কংগ্রেস করেছেন, কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।  তারপর তিনি মুসলি লীগ করেছেন, মুসলিম লীগের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।  এবং তিনি আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেছেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।  অর্থাৎ প্রতি মুহূর্ত সন্ধান করেছেন যে কোনো সংগঠন করলে জনগণের মুক্তি আসবে’।
‘এরপর তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি করেছেন এবং সেটিও জনগণের মুক্তির জন্য করেছেন।  সবশেষ মৃত্যুর আগে তিনি বলেছেন, আমি তো চলে যাচ্ছি, তোমরা জিয়াউর রহমানের হাতকে শক্তিশালী করো, তার হাতে তোমাদের মুক্তি আসবে,’- বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ