মামলা জট কমাতে টার্গেট ৫-৬ লাখ

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক : সুপ্রিম কোর্টের ২০১৮ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী উচ্চ ও অধস্তন আদালত বিচারাধীন দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলার সংখ্যা ৩৫ লাখ ৬৯ হাজার ৭৫০টি, যা গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বেড়ে হয় ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ২৬৩টি। এর মধ্যে সর্বোচ্চ আদালতে ২১ হাজার ৮১৩টি, উচ্চ আদালতে ৫ লাখ ৬ হাজার ৬৬৪টি এবং অধস্তন আদালতে ৩০ লাখ ৫৩ হাজার ৮৭০টি বিচারাধীন মামলার কথা বলা হয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্টের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে উচ্চ ও অধস্তন আদালতে বিচারাধীন দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলার সংখ্যা বলা হয়েছে ৩৬ লাখ ৬০ হাজার।

নিম্ন ও উচ্চ আদালতে বিচারাধীন প্রায় ৩৭ লাখ মামলার মধ্যে থেকে নতুন বছরে ৫-৬ লাখ মামলা কমানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এই লক্ষ্য সামনে রেখে বিচারিক আদালতে লোকবল বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বুধবার (১ জানুয়ারি) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী বিচারকদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ তথ্য জানান মন্ত্রী। এর আগে আইনমন্ত্রী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সাবেক বিচারপতি খন্দকার মুসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘এখানে ৩৬ লাখ ৬০ হাজার মামলার যে কথা বলা হচ্ছে সেটার সঙ্গে কিন্তু কিছুটা পার্থক্য আছে। এটা যাই হোক আমাদের এই বছর লক্ষ্য থাকবে এই মামলা জট থেকে অন্তত পক্ষে ৫ থেকে ৬ লাখ মামলা কমানো। আমরা সেইভাবে বিচারিক যে প্রোগ্রাম, আদালতের লোকবল বাড়ানোর চেষ্টা করছি। আমরা মামলা কমানোর যে পরিকল্পনা নিয়েছি তা কিন্তু অবাস্তব না। আমরা চেষ্টা করব, বাকি আল্লাহর ইচ্ছা’। 

যেসব ফৌজদারী মামলা আপসযোগ্য সেসব মামলা আদালতের বাইরে নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিতে বিচারকদের আহ্বান জানান আইনমন্ত্রী। এ প্রক্রিয়াটি আরও জোরদার করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিকল্পবিরোধ নিষ্পত্তি আরও জোরদার করা হবে। বিকল্পবিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়টি এখনও জনগণের কাছে তেমনভাবে পরিচিত নয়। সেই ক্ষেত্রে ফৌজদারী মামলা যেগুলো আপসযোগ্য, সেগুলোর বিষয়ে আদালত যেন বলে দেয় কোর্টের বাইরে মিমাংসা করতে। এজন্য বিজ্ঞ বিচারকদের উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানাচ্ছি’।