মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, কর্ণফুলী উপজেলা প্রতিনিধি >>>
দক্ষিণ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় দু’দিন আগে চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৈঠকের শলাপরামর্শকালে মারামারির ঘটনায় ছুরিকাঘাতে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত একজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের বানুর বাপের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় দোভাষকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত যুবক চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের বানুর বাপের বাড়ি এলাকার আহমদ হোসেনের ছেলে মো. আরিফ হোসেন দোভাষ (২২)।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. সেলিম ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার ২-৩ দিন আগে চরলক্ষ্যার বানুর বাপের বাড়ির মো. সেলিম ওয়াহিদের বাড়িতে চুরি সংঘটিত হয়। পরে চোর সনাক্ত হওয়ার পর বাড়ি থেকে চুরি হওয়া অধিকাংশ মালামাল যেমন- মোটর, সিলিং ফ্যান, টেবিল ফ্যান উদ্ধার হলেও কানের দুল উদ্ধার হয়নি। এ নিয়ে চুরির ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে সমাধানের জন্য চোর ও অন্যান্য লোকজন বসে শলাপরামর্শকালে কথা কাটাকাটি হলে এক পর্যায়ে একই বাড়ির শেখ আহমদের ছেলে মো. কায়সারের নেতৃত্বে দিদার, তাসকিন শাকিব, এনাম রাজু, পারভেজসহ আরো কয়েকজন আরিফ হোসেন দোভাষের উপর হামলা চালিয়ে ছুরিকাঘাত করে। পরক্ষণেই স্থানীয় লোকজন পারভেজ কে আটকে রাখে ও বাকিরা পালিয়ে যায়। পরে র্যাব-পুলিশের একটি যৌথ টিম গিয়ে পারভেজকে আটক করে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা আরো জানান, পুরো কর্ণফুলীতে কয়েকটি কিশোর গ্যাং ও গ্যাং কালচার বৃদ্ধি পেয়েছে। এদের আইনের আওতায় আনা হলে কিশোর অপরাধ অনেকটা কমে যাবে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ আলাউদ্দিন তালুকদার দৈনিক চট্টগ্রামকে বলেন, সকালে ছুরিকাঘাতে আহত এক যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কর্ণফুলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইসমাইল হোসেন দৈনিক চট্টগ্রামকে বলেন, সালিশী বৈঠকে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ছুরি দিয়ে আঘাত করে দোভাষকে। ঘটনাস্থল থেকে স্হানীয়রা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরিফ। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় পারভেজ (২২) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ এপ্রিল চরলক্ষ্যায় কবিরাজ শায়ের খুন হন এবং র্যাবের হাতের ৬ জন গ্রেফতার হয়।
ডিসি/এসআইকে/এমএম