বাঁশখালীতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু!

বাঁশখালী প্রতিনিধি >>>
দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের বড়ঘোনা গ্রামে এক গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। শাহেদা বেগম (৩৫) নামের ওই গৃহবধূ পরকিয়ায় আসক্ত স্বামীর শারীরিক নির্যাতনে মৃত্যু হয়েছে বলে এলাকায় প্রচারিত হচ্ছে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে তার মুখে বিষ ঢেলে দেওয়া হয়েছে বলেও স্থানীয়দের ধারণা। অন্যদিকে নিহত গৃহবধূর পরিবারেরও অভিযোগ- তাকে হত্যা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) ভোরে গন্ডামারা ইউনিয়নের বড়ঘোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই স্বামী মোহাম্মদ ইউনুছ পলাতক রয়েছেন।
গৃহবধূর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল হোসেনের মেয়ে শাহেদা বেগমের সাথে সামাজিকভাবে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ইউনুছের সাথে ১২ বছর আগে বিয়ে হয়। নিহত শাহেদার সংসারে ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় বাঁশখালী থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানা গেছে। থানা পুলিশ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
নিহতের ভাই রফিকুল আলম দৈনিক চট্টগ্রামকে জানান, বড় ভাইয়ের বিধবা স্ত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের বিষয় নিয়ে বিগত ৫-৬ বছর ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে আমার বোনকে বেশ কয়েকদফা নির্যাতনও করা হয়েছিল। নির্যাতনের কারণে বেশ কয়েকবার স্থানীয় শালিস-বিচারও হয়েছে। কিন্তু তবুও আমার বোনের উপর শারীরিক নির্যাতন অভ্যাহত ছিল। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) সকালে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে শুনে আমার বোনকে পার্শ্ববর্তী ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
গন্ডামারা ইউপি সদস্য আনোয়ার বাদশা বলেন, ইউনুছের সাথে তার বিধবা ভাবির সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে বেশ কয়েকবার শালিসী বৈঠক হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মু. রেজাউল করিম মজুমদার দৈনিক চট্টগ্রামকে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরে লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের উপর মৃত্যুর রহস্য নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে তিনি জানান।

ডিসি/এসআইকে/এমএমবিটি