দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
রেলওয়ের টেন্ডার নিয়ে সানাউল হক নামে এক ঠিকাদারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের তিন নেতার বিরুদ্ধে। ঠিকাদার সানাউল হককে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে দুই ঘণ্টা জিম্মি করে রাখার অভিযোগও উঠেছে ছাত্রলীগের তিন নেতার বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) দুপুরে পাহাড়তলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার হয়ে ঠিকাদার সানাউল হক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি অগ্রণী এন্টারপ্রাইজ প্রতিষ্ঠানের নামে টেন্ডারে অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলেন নগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুজন বর্মন, অর্থ সম্পাদক হাসানুল আলম চৌধুরী সবুজ ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক লিটন চৌধুরী রিংকু। এদের মধ্যে সুজন বর্মন ও হাসানুল আলম চৌধুরী সবুজও টেন্ডারে অংশ নিয়েছেন বলে জানা গেছে। সুজন বর্মন এসবি ট্রেড ও হাসানুল আলম চৌধুরী সবুজ এএনজেড এন্টারপ্রাইজ প্রতিষ্ঠানের নামে রেলওয়ের ওই টেন্ডারে অংশ নিয়েছেন।
ভুক্তভোগী ঠিকাদার সানাউল হক জানান, বুধবার (২৪ জুন) টেন্ডার ড্রপ হয়েছে। টেন্ডারে আমি ৬৬ লাখ টাকায় বিট করেছি। বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) দুপুরে আমি স্যাম্পল জমা দিতে গিয়েছিলাম। গাড়ি থেকে নামতেই সুজন বর্মন, হাসানুল আলম চৌধুরী সবুজ ও লিটন চৌধুরী রিংকু আমাকে ধরে নিয়ে মারধর করে। আমার কাছ থেকে স্যাম্পল ছিনিয়ে নেয়। তারা ওই এলাকায় না যেতে হুমকিও দেয় আমাকে। আমি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগ নেতা ও ঠিকাদার সুজন বর্মন ও হাসানুল আলম চৌধুরী সজুব। সুজন বর্মন বলেন, সানাউল হক নামে আমি কাউকে চিনি না। তাকে মারধরের প্রশ্নই আসে না।
হাসানুল আলম চৌধুরী সবুজ বলেন, অগ্রণী এন্টারপ্রাইজ টেন্ডারে অংশ নিয়েছে। আমরাও টেন্ডারে অংশ নিয়েছি। আমি সর্বনিম্ন ৩৫ লাখ দর দিয়েছি টেন্ডারে। উনারা ৬৬ লাখ দর দিয়েছেন। টেন্ডার না পাওয়ার জন্য এসব অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা আমার নলেজে নাই। কেউ থানায় অভিযোগও করেনি।
ডিসি/এসআইকে/এসএজে