সিএমপির বায়েজিদ থানায় জীবিত আসামিকে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দেখিয়ে অব্যাহতি!

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বায়েজিদ বোস্তামী থানার একটি মামলায় জীবিত আসামিকে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দেখিয়ে অব্যাহতি সুপারিশ করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়ার ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দিপঙ্কর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে।  এসআই দিপঙ্কর চন্দ্র রায়ের তদন্তে গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেছে উল্লেখ করে সম্প্রতি সিএমপি কমিশনার কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের গঠিত কমিটি।  এর আগে, বিষয়টি গণমাধ্যমে এলে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দিপঙ্কর চন্দ্র রায়কে বরখাস্ত করা হয়।
সিএমপির তদন্ত কমিটির প্রধান ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিবি-উত্তর) আলী হোসেন বলেন, তদন্ত কর্মকর্তার গাফিলতিতে এ ভুল হয়েছে।  বন্দুকযুদ্ধের ঘটনার মামলা ও এ মামলা আলাদা।  দুই আসামির নামে মিল থাকলেও বাবার নাম ও ঠিকানা ভিন্ন।  তদন্ত কর্মকর্তা মামলা শেষ করার আগে তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে সাক্ষ্য স্মারক দেননি।  ওটা দিলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মামলার সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারতেন।  কিন্তু তিনি তা না দিয়ে নিজেই মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছেন।
২০১৮ সালের নভেম্বরে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় ষাটোর্ধ্ব শাহ আলম নামে এক ব্যক্তি নিজেকে ও তার পরিবারের সদস্যদের মারধরের অভিযোগে নাত-জামাইসহ ৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।  এক বছর তদন্ত করে ২০১৯ সালের নভেম্বরে ছয় আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা বায়েজিদ বোস্তামী থানার এসআই দিপঙ্কর রায়।  অভিযোগপত্রে মো. জয়নাল নামে এক আসামিকে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত উল্লেখ করে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করেন তিনি।  কিন্তু আসামি জয়নাল তার মামলায় প্রতিনিয়ত হাজিরা দিয়ে আসছেন।
দীর্ঘদিন বিষয়টি অগোচরে থাকলেও সম্প্রতি আদালতে জয়নালের হাজিরা দিতে আসাটা অনেকের নজরে আসে।  বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দীপঙ্করকে বরখাস্ত করা হয়।  এরপর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।  কমিটি গত সোমবার পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

ডিসি/এসআইকে/এমএনইউ