বিপ্লব উদ্যানে চুক্তির শর্ত ভেঙে নির্মিত স্থাপনা অপসারণ শুরু

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
চট্টগ্রাম নগরীর বিপ্লব উদ্যানে সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের চুক্তির শর্ত ভেঙে নির্মিত স্থায়ী বসার আসন অপসারণ করা হয়েছে।  পাশাপাশি দ্বিতীয় তলার দোকানগুলো সরিয়ে নিতে সাত দিনের সময় দেওয়া হয়েছে।  সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) জাহানারা ফেরদৌস ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলীর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে উপস্থিত চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম জানান, চুক্তিতে এক সারি বসার আসন নির্মাণের কথা ছিল।  সেটা না করে দুই সারি আসন নির্মাণ করা হয়।  এতে চলাচলের পথ সংকুচিত হয়ে পড়ে।  এর মধ্যে এক সারি স্থায়ী আসন আজ ভেঙে দেওয়া হয়েছে।  দ্বিতীয় তলার দোকানগুলো ভাঙতে সাত দিনের সময় দেওয়া হয়েছে।  চুক্তিতে বিপ্লব উদ্যানে মোট ২৫টি দোকানের উল্লেখ ছিল।  এখন দ্বিতীয় তলায়সহ মোট ৪০টি দোকান স্থাপন করা হয়েছে।
চুক্তির শর্ত ভেঙে বড় আকারের দোকান ও দ্বিতল অবকাঠামো নির্মাণ করায় গত ২৫ আগস্ট বিপ্লব উদ্যানের দোকানগুলো বন্ধের নির্দেশ দেন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।  সেই থেকে ওই উদ্যানের দোকানগুলো এখনও বন্ধ রয়েছে।
সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের মেয়াদে ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর বিপ্লব উদ্যানের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য রি-ফর্ম লিমিটেড ও স্টাইল লিভিং আর্কিটেক্টস লিমিটেড নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়।  বিপ্লব উদ্যান ও এর চারপাশের ফুটপাতসহ আনুমানিক এক একর জমি এই প্রতিষ্ঠান দুটিকে বরাদ্দ দেওয়া হয় ২০ বছর মেয়াদি ওই চুক্তিতে।  যেহেতু রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্বাহ করবে তাই সিটি কর্পোরেশনকে বছরে মাত্র এক লাখ টাকা কর বাবদ দেবে।  এছাড়া ডিজিটাল স্ক্রিনগুলোর জন্য সরকার নির্ধারিত হারে কর দেবে।
প্রতিষ্ঠান দুটি উদ্যানটি সংস্কার করে একপাশে দোতলা বিপণিবিতান নির্মাণ করে।  পরে বিপণিবিতানের দোকানগুলো মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে।
চসিক জানায়, দ্বিতল কোনো অবকাঠামো করার বিষয় চুক্তিতে ছিল না।  চুক্তি অনুসারে, উদ্যানের পূর্ব পাশে প্রতিটি ১৫০ বর্গফুটের মোট ২৫টি দোকান নির্মাণ করা যাবে।  তবে প্রতিটি দোকান করা হয় ২০০ বর্গফুটের।  এছাড়া জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা সংকুচিত করে দোকানের সামনে বসার জন্য স্থায়ী আসন বানানো হয়েছে।  গত ২৫ আগস্ট পরিদর্শনে গিয়ে প্রশাসক সুজন জানান, দোকানের বর্ধিত অংশ ভেঙে ফেলা হবে।  সোমবারের অভিযানে সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব ও প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।  অভিযানে সহায়তা করেন নগর পুলিশের সদস্যরা।

ডিসি/এসআইকে/এমএনইউ