মোহাম্মদ জিপন উদ্দিন, ফটিকছড়ি প্রতিনিধি >>>
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উত্তর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় একটি রিভলবার ও ৬ রাউন্ড গুলিসহ চার যুবককে আটক করেছে র্যাব-৭। ডিএডি মো. শহিদুল আলম ও তার সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স তাদেরকে আটক করতে সক্ষম হন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) বিকাল পাঁচটা ২০ মিনিটে বিবিরহাট খাগড়াছড়ি রোডস্থ ১নং রাস্তার মাথা সানমুন কনভেনশন হলের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, বিবিরহাটের ধুরুং এলাকার মো. জেবল হোসেনের ছেলে মো. মোহসিনুল করিম ইরফান (২০), হরিণাদিধীর বড় ছিলোনিয়ার মো. নুরুল ইসলামের ছেলে আব্দুর রহিম জিহান (২৩), বিবিরহাটের দৌলতপুর এলাকার বিবিরহাট মো. জসিমউদ্দীনের ছেলে মো. শাওন (১৮) এবং একই এলাকার আমানবাজারের মো. আব্দুর রহিমের ছেলে মো. মঈনুল হাসান হারেজ (১৮)।
সূত্র জানায়, র্যাব-৭ ফটিকছড়ি থানা এলাকায় টহল ডিউটি করাকালে ভোর ৫ টায় তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উল্লেখিত স্থানে পৌঁছালে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই ৪ যুবক মোটরসাইকেলযোগে পালানোর চেষ্টা করে। র্যাবের সদস্যরাও তাদের ধরতে সক্ষম হয়। আটককৃত ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরা উপরোক্ত নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে। আটককৃত যুবকদের পালানোর কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা কোনো সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারায় এবং তাদের কথাবার্তায় যথেষ্ট সন্দেহ প্রকাশ পাওয়ায় তাদের দেহ তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে ১ নম্বর আসামি মোহসিনুল করিম ইরফান (২০) এর কোমরে ৩ (তিন) রাউন্ড গুলি ভর্তি একটি রিভলবার এবং ২ নম্বর আসামি আব্দুর রহিম জিহান (২৩) এর পকেটের ভিতর থেকে তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে র্যাব। তাদের সাথে থাকা দুটি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে র্যাব-৭ এর ডিএডি মো. শহিদুল আলম বলেন, উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলি দ্বারা ধৃত আসামিরা দীর্ঘদিন যাবৎ একে অপরের সহায়তায় চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা, দেহ ব্যবসাসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা তাদের আটক করতে সক্ষম হয়েছি।
আটককৃত যুবকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ফটিকছড়ি থানায় প্রেরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মামলার ১ নম্বর আসামি মো. মোহসিনুল করিম ইরফান (২০) এর নামে ফটিকছড়ি থানায় দুইটি এবং ২ নম্বর আসামি আব্দুর রহিম জিহান (২৩) এর নামে ফটিকছড়ি থানায় দুইটি মামলা রয়েছে।
ডিসি/এসআইকে/এমজেইউ