নামের মিলে ১৬ মাস জেল খেটে জামিন পেলেন সেই নারী

আদালত প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
মাদক মামলায় হাসিনা আক্তারের পরিবর্তে এক বছর চার মাসের বেশি সময় ধরে কারাগারে থাকা হাসিনা বেগমের মুক্তির আদেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (৪ মে) দুপুরে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁইয়ার ভার্চুয়াল আদালত এ আদেশ দেন।  বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাসিনা বেগমের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যাওয়া হাসিনা আক্তার ও বর্তমানে কারাগারে থাকা হাসিনা বেগম একই ব্যক্তি নন বলে ছবিযুক্ত নথি দেখে তা নিশ্চিত হয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।  এরপর হাসিনা বেগমের মুক্তির আদেশ দেয় আদালত।
নগরীর কর্ণফুলী থানার একটি মাদক মামলায় ২০১৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে কারাগারে যান হাসিনা আক্তার।  পরে একই বছরের ২৭ নভেম্বর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন তিনি।  এরপর ২০১৯ সালের ১ জুলাই ওই মামলায় তাকে ছয় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অনাদায়ে আরো এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন অতিরিক্ত পঞ্চম মহানগর দায়রা জজ জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরীর আদালত।  কিন্তু সাজা পরোয়ানামূলে গ্রেফতার হয়ে ২০১৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে কারাগারে রয়েছেন হাসিনা বেগম।
সম্প্রতি বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ।  এর পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ আদালতে শুনানি হয়।  শুনানি শেষে কারাগারে থাকা হাসিনা বেগম ও সাজাপ্রাপ্ত হাসিনা আক্তার একই ব্যক্তি কিনা কারাগারের ছবিযুক্ত নথি খতিয়ে দেখে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে কারাগারের সিনিয়র জেল সুপারকে নির্দেশ দেয় আদালত।
এর আগে হাসিনা বেগম এ মামলার প্রকৃত আসামি নয় বলে আদালতে দেয়া প্রতিবেদনে জানায় টেকনাফ থানা পুলিশ।
কারাগারে থাকা হাসিনা বেগমের বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফ পৌর সদরের চৌধুরী পাড়ায়।  তিনি হামিদ হোসেনের স্ত্রী।  সাজাপ্রাপ্ত আসামি হাসিনা আক্তার একই এলাকার ইসমাইল হাজীর বাড়ির হামিদ হোসেনের স্ত্রী।  দুজনের নামের একাংশ ও স্বামীর নামে মিল থাকলেও অমিল রয়েছে বাবা-মায়ের নামে।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর