বান্দরবানে ফের সচল বন্ধ করা ১৪ ইটভাটা

বান্দরবান প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
হাইকোর্টের নির্দেশে ব্যাপকভাবে অভিযান চালিয়ে বন্ধ ঘোষণার পর আবারও চালু হয়েছে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের ১৪টি ইটভাটার কার্যক্রম।  িভাটা মালিক স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আগের মতিই পাহাড় কেটে মাটি এবং জ্বালানি হিসেবে বনের কাঠ ব্যবহার করে ভাটা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২৫ জানুয়ারি চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটির সব অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম সাতদিনের মধ্যে বন্ধের আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।  একই সঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে দাখিল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল তাতে।  এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১০ ফেব্রুয়ারি বান্দরবানের লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়েসুর রহমান ও মামুনুর রশীদ।  এ সময় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইউএমবি, এসকেবি, এসবিডব্লিউ, এফএসি, ইবিএম, এমবিএম, এসবিএম, এমএমবি, পাইভএমবি, এমবিআই, এনআরবি, ইউএমবিসহ ১৪টি ইটভাটা বন্ধ ঘোষণা করে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেন তারা।
এছাড়া প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) এর বিভিন্ন ধারায় অনুমোতি বিহীন ইটভাটা স্থাপনের দায়ে ওই ১৪টি ইটভাটার মালিককে সর্বমোট ১৬ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছিল জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে।
প্রশাসনের বন্ধ ঘোষিত ইটভাটাগুলো অভিযানের পরদিন থেকে আবারও পুরোদমে ইট প্রস্তুত করে যাচ্ছে।  ভাটা মালিক স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় এরা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে আগের মতোই পাহাড় কেটে মাটি ও জ্বালানি হিসেবে বনের কাঠ ব্যবহার করে ইট উৎপাদন করে আসছে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে লামা ফাইতং ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মোক্তার বলেন, ‘আগের তৈরি কাঁচা ইটগুলো পোড়ানো হচ্ছে।  নতুন করে কোনো ধরনের ইট তৈরি করা হচ্ছে না।  কয়েক কোটি টাকা লোকসান থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের এ নিষেধাজ্ঞা মানতে পারছে কেউ।
বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আব্দুস সালাম জানান, বান্দরবানে মোট ৬৩টি ইটভাটা রয়েছে।  এর কোনোটিতেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই।  ফলে সবক’টি ইটভাটাই অবৈধ।  আগামি সপ্তাহে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে অলোচনা করে পুনরায় ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিবো।
বান্দরবান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়েসুর রহমান বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বন্ধ ঘোষণা করা ইটভাটাগুলো যেই পুনরায় চালু করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডিসি/এসআইকে/সিসি