কক্সবাজার প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ অন্তত ১৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে ১২ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে খুরুশকুল ইউনিয়নের কুলিয়াপাড়ায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে আহতের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, খুরুশকুলের কুলিয়াপাড়ার জনৈক ফারুক ও রাশেদের মধ্যে দীর্ঘদিন জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে জুমার নামাজের পর দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
ফারুকের অভিযোগ, কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে রাশেদের ভাই আবু সুফিয়ান ও তাদের পক্ষের মনজুরের ভাতিজা বাবু এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করেন। গুলিতে তিনিসহ ১৪ জন গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এদের মধ্যে ইফতাদুলসহ দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাশেদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
খুরুশকুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজাহান ছিদ্দিকী বলেন, ‘জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ফারুক ও রাশেদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে জেনেছি। এতে উভয়পক্ষ গুলিবর্ষণ করে। এতে ১২-১৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে শুনেছি’।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আশিকুর রহমান জানান, ১৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে আসেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ১২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। দুজনের চোখে গুলি লেগেছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। সদর হাসপাতালে গিয়ে তিনজন গুলিবিদ্ধ ভর্তি আছে বলে জানতে পারে পুলিশ। তবে এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কেউ পুলিশের কাছে অভিযোগ করেননি।
ডিসি/এসআইকে/এফআরইউ