নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
শনিবার তখন রাত ২টা। ওই সময় শামীমার দরজায় নক করেন কিবরিয়া। তিনি পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়া হওয়ায় রুমের দরজা খুলে দেন শামীমা। রুমে ঢুকেই কিবরিয়া তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তিনটি স্বর্ণের দুল, দুটি স্বর্ণের আংটি ও একটি মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যান। ঘটনাটি চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকার।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. আজম ইপিজেড থানায় একটি মামলা করেন। পরে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মো. কিবরিয়া জাফরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে স্বর্ণের দুল, আংটি ও মোবাইল।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) ইপিজেড থানায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সুলতানা। তিনি বলেন, রবিবার চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানার নিউমুরিংয়ের একটি ভবনে শামীমা নামে এক নারীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে হাত-পা বেঁধে মুখে কাপড় দিয়ে রাখেন আসামি। এরপর বাসায় থাকা ১২ আনা স্বর্ণ, একটি মোবাইল নিয়ে যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাইয়ের দায়ের করা মামলায় কিবরিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। আর্থিকভাবে অস্বচ্ছলতার কারণে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে খুন করে স্বর্ণ ও মোবাইল নিয়ে যান তিনি।
তিনি আরো বলেন, শনিবার রাত ২ টার পর ভিকটিম শামীমার দরজায় নক করেন কিবরিয়া। ওই সময় তিনি পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়া হওয়ায় শামীমা রুমের দরজা খুলে দেন। রুমে প্রবেশ করেই কিবরিয়া তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তিনটি স্বর্ণের দুল, দুটি স্বর্ণের আংটি ও একটি মোবাইল লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, রবিবার দুপুরে চট্টগ্রামের নিউমুরিং তক্তার পুল আবুল ফয়েজের বিল্ডিংয়ের ৫ম তলার ভাড়া বাসা থেকে শামীমা আক্তার নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শামীমা পটুয়াখালীর বাউফল থানার জামাল উদ্দিনের স্ত্রী। রাঙামাটি বিজিবিতে চাকরি করেন জামাল উদ্দিন।
ডিসি/এসআইকে/আরসি