রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৯ খুন ৫ মাসেই!

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের হামলায় গত পাঁচ মাসে অন্তত ১৯ জন খুন হয়েছেন।
পুলিশের দাবি, অধিকাংশ খুনের ঘটনা ঘটেছে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে, যার নেপথ্যে রয়েছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।
এসব খুনের ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, খুনিদের টার্গেটে পরিণত হচ্ছেন রোহিঙ্গা নেতা ও ক্যাম্পে রাতে পাহারায় নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকরা।
গত ২৬ অক্টোবর ভোরে বালুখালী ১০ নম্বর ক্যাম্পে মো. জসিম নামের এক রোহিঙ্গা যুবক একদল মুখোশধারীর গুলিতে নিহত হন। এর আগে, ১৮ অক্টোবর উখিয়ার ১৯ নম্বর ক্যাম্পে খুন হন সৈয়দ হোসেন নামের আরেক রোহিঙ্গা যুবক, যিনি তার বাবা হত্যার ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য তৎপর ছিলেন।
গত ১৫ অক্টোবর কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝি মো. আনোয়ার ও সাব মাঝি মৌলভি ইউনুসকে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করে রোহিঙ্গা দুষ্কৃতকারীরা। এভাবে গত পাঁচ মাসে অন্তত ১৯টি খুনের ঘটনা ঘটেছে।
গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর কুতুপালংয়ের পাইন্নাশিয়া শিবিরে খুন হন রোহিঙ্গাদের অন্যতম শীর্ষ নেতা মহিবুল্লাহ। তিনি রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের পক্ষে জোরালো ভূমিকা রাখছিলেন। এরপর ২১ অক্টোবর বালুখালীর ১৮ নম্বর শিবিরের একটি মাদরাসায় গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় ছয়জনকে।
গত পাঁচ বছরে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরগুলোতে খুন হয়েছেন অন্তত ১১৯ জন। এ সময়ে খুনসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে প্রায় আড়াই হাজার মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি হয়েছে ৫ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা।
রোহিঙ্গা শিবিরে দায়িত্বপ্রাপ্ত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ জানান, অবৈধভাবে টাকা আয়ের জন্য মাদক ব্যবসা, অপহরণ ও আধিপত্য বিস্তারসহ নানা কারণে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা এসব খুনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। এ নিয়ে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। এসব অভিযানে বেশ কিছু দুষ্কৃতকারীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

ডিসি/এসআইকে/এফআরইউ