পাঁচলাইশে কিশোরীর রহস্যময় মৃত্যু, সৎ মাসহ আটক ৩

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
নগরের পাঁচলাইশ থানার হামজারবাগ এলাকায় এক কিশোরীর রহস্যময় মৃত্যুর ঘটনায় তার সৎমাসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে মারিয়া নামের ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) তার লাশ উদ্ধার করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মারিয়া (১২) নাজিরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আমান উল্লাহ তালুকদার বাড়ির (নূর আহম্মদ ইঞ্জিনিয়ার স্কুল সংলগ্ন) মহিউদ্দিনের প্রথম মেয়ে। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স হলে নুসরাত জাহান ইবা (২৭) নামের অপর এক মেয়েকে বিয়ে করেন মহিউদ্দিন। নতুন সংসারেও তার দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। গত চার মাস আগে গ্রাম ছেড়ে মহিউদ্দিন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে হামজারবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতে শুরু করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত ৮ টার দিকে বাসার টয়লেটে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। পরে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে গ্রাম থেকে যান নিহতের বাবা ও চাচারা। পরে তারা বিষয়টি পাঁচলাইশ থানাকে অবহিত করলে পুলিশ এসে লাশ সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পাঁচলাইশ থানা পুলিশ সৎমা নুসরাত জাহান ইবাসহ (২৭) আরও তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞেসাবাদ করছে। ময়নাতদন্ত শেষে মারিয়ার লাশ গ্রামে নিয়ে যান স্বজনরা। রাত ৮টায় স্থানীয় মসজিদ মাঠে জানাজা শেষে দাফন করার কথা রয়েছে।
মারিয়ার জেঠা মোহাম্মদ দুলাল বলেন, ‘মৃত্যুর পর খবরটি পর্যন্ত আমাদের জানানো হয়নি। আমরা এক ফুফাতো ভাইয়ের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। আমরা গিয়ে দেখি আমার ভাতিজির শরীরের নানা আঘাতের চিহ্ন। কিন্তু সৎমায়ের দাবি, টয়লেটে জ্বিনে হত্যা করেছে তাকে। আরেকবার বলে, ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। আমরা অনেকটা নিশ্চিত আমার ভাতিজিকে সে খুন করেছে’।

ডিসি/এসআইকে/আরসি