বিয়ের অনুষ্ঠানে মদপানে বাবা-ছেলেসহ ১২ জনের মৃত্যু

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
বগুড়ায় বিয়ের অনুষ্ঠানে বিষাক্ত মদপানে একই পরিবারের বাবা-ছেলেসহ মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ জনে।  বিষাক্ত মদপানে মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।  এর আগে মদপানে সাতজন মারা যায়।
পুলিশ জানায়, ১০টি মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।  ময়নাতদন্তে জানা যাবে তাদের মৃত্যুর কারণ।  অপর দু’জন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
গতকাল সোমবার রাতে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেছেন মদপানে অসুস্থ রঞ্জুর ভাই মনোয়ার হোসেন।  এই মামলায় বগুড়া শহরের পারুল হোমিও হল, খান হোমিও হল ও পুনম হোমিওসহ কয়েকজন হোমিও ব্যবসায়ীকে দায়ী করেছেন।
বগুড়ার এসপি আলী আশরাফ ভুঞা জানান, বগুড়ায় বিষাক্ত মদপানে এখন পর্যন্ত চারজন মারা গেছেন।  অন্য যাদের নাম এসেছে তাদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।  তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বিষাক্ত মদপানে সর্বশেষ মারা যাওয়া তিনজন হলেন, বগুড়া শহরের তিনমাথা পুরান বগুড়া দক্ষিণপাড়ার পাদুকা শ্রমিক প্রেমনাথ রবিদাস, বগুড়া সদরের ফুলবাড়ী মধ্যপাড়ার রিকশাচালক আব্দুল জলিল, ফাঁপোড় পশ্চিমপাড়ার রিকশাচালক জুলফিকার আলী এবং মঙ্গলবার বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার দুরুলিয়া গ্রামে বিষাক্ত মদপানে মারা যায় মেহেদি হাসানও উপজেলার কাটাবাড়িয়া গ্রামের আবদুল আহাদ।
সোমবার জেলা শহরের কয়েকটি এলাকায় মারা যায় পুরান বগুড়া দক্ষিণপাড়ার প্রেমনাথ রবিদাসের পুত্র সুমন রবিদাস ও একই পরিবারের সদস্য রামনাথ রবিদাস, পুরান বগুড়া তিনমাথার জিলাদারপাড়ার রাজমিস্ত্রি রমজান আলী, ফুলবাড়ী দক্ষিণপাড়ার এলাকার দিনমজুর মো. পলাশ, কাটনারপাড়া হটুমিয়া লেন শ্রমিক সাজু প্রাং ও মোজাহার আলী ও কাহালু পৌর এলাকার অটোরিকশার চালক আবুল কালাম।
জানা যায়, গত ৩১ জানুয়ারি রাতে পুরান বগুড়া, ভবের বাজার, কালিতলা, ফুলবাড়ি ও কাটনারপাড়া এলাকায় আলাদা করে বিষাক্ত মদপান করে বেশ কয়েজন।  বিষাক্ত মদপানে অসুস্থ হয়ে বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন শিববাটি এলাকার হোটেল শ্রমিক রঞ্জু মিয়া, ফুলবাড়ী এলাকার বিদ্যুতের মিস্ত্রি আইয়ুব আলী ও একই এলাকার পায়েল।
বগুড়া সদর থানার ওসি হুমায়ূন কবির জানান, রঞ্জু মিয়ার ভাই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।  ওই মামলায় পারুল, পুনম, খান নামের তিনটিসহ কয়েকটি হোমিও হলের নামে অভিযোগ করা হয়েছে।  অভিযুক্ত হোমিও ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
বগুড়ার শাজাহানপুর থানার ওসি (তদন্ত) আম্বার হোসেন জানান, মঙ্গলবার শাজাহানপুর উপজেলার দুরুলিয়া গ্রামে বিষাক্ত মদপানে মারা গেছে খবর পেয়ে মেহেদি হাসান ও উপজেলার কাটাবাড়িয়া গ্রামের আবদুল আহাদ নামে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।  লাশ দুটি বগুড়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত করা হয়।  ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে পরবর্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  এর মধ্যে মেহেদী পেশায় একজন থ্রী হুইলার সিএনজি অটোরিকশা টেকনিশিয়ান ও আহাদ পেশায় একজন ভূমি সার্ভেয়ার।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ