লক্ষ্মীপুরে বজ্রপাতে একসঙ্গে ১৯ মহিষের মৃত্যু

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মেঘনা নদীর তীরবর্তী টুনিরচরে বজ্রপাতে ১৯ মহিষের মৃত্যু হয়েছে।  বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।  বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মৃত মহিষগুলো উদ্ধার করে মেঘনায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রায়পুরের দক্ষিণ চরবংশি ইউপির টুনিরচর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত মহিষের মালিক হলেন, আলী হো‌সেন, জাহাঙ্গীর, দুলাল বোহাদ্দার, ইউসুফ ও বরিশালের জাহাঙ্গীর আখন।
বাথান মালিক দুলাল পোদ্দার জানান, রায়পুরের মেঘনায় জেগে ওঠা টুনিরচরে তারা চারজনসহ অনেকে গত ৩০ বছর বেশি সময় ধরে মহিষ পালন করে আসছি।  ব্যক্তিগত উদ্যোগে সেখানে আমরা মাটির কিল্লা (উচুঁ মাটির ভিটে) স্থাপন করেছি।  জোয়ার এলে চরের মহিষগুলো কিল্লাতে আশ্রয় নেয়।  কিন্তু বুধবার রাতে মেঘনার এ চরে বজ্রপাতে বাছুরসহ ১৯টি মহিষ মারা যায়।  যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা।  এসব মহিষ উদ্ধার করে সন্ধ্যায় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও চরের লোকজনের উপস্থিতিতে-মেঘনায় ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রায়পুরের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা।
রায়পুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আতাউর রহমান বলেন, রায়পুর শহর থেকে বিচ্ছিন্ন দুর্গম ওই চরের বিভিন্ন বাথানে দুই হাজারেরও বেশি মহিষ পালন করা হয়।  কিন্তু দুর্যোগে এসব মহিষ রক্ষায় কোনো ব্যবস্থা নেই।  মহিষ মালিকরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে মাটির কিল্লা স্থাপন করেছেন।  ওই মাটির কিল্লা যথেষ্ট নয়।
রায়পুর ইউএনও সাবরিন চৌধুরী বলেন, মহিষগুলোর মৃত্যুর বিষয়ে তিনি খোঁজ-খবর রেখেছেন।  চরে মাটির কিল্লা স্থাপনের ব্যাপারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।  এছাড়া উপজেলা পরিষদ থেকেও কিল্লা নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ