বায়েজিদে হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবন

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রাম নগরের রৌফাবাদ হাউজিং সোসাইটি এলাকায় একটি চারতলা ভবন হেলে পড়েছে। ভবনটি পার্শ্ববর্তী একটি পাঁচতলা ভবনের সঙ্গে গিয়ে ঠেকেছে।
আজ শনিবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
হেলে পড়া ভবনের পাশ দিয়ে সিটি কর্পোরেশনের একটি নালা খনন করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ কারণেই ভবনটি হেলে পড়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের বায়েজিদ বোস্তামী স্টেশনের সিনিয়র অফিসার মো. কামরুজ্জামান বলেন, খোরশেদ ম্যানসন নামে চারতলা ভবনটি হেলে পড়ে পার্শ্ববর্তী একটি পাঁচতলা ভবনের সঙ্গে ঠেকেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। আমরা ভবনটিসহ আশেপাশের ভবনের লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে দিয়েছি। হেলে পড়া ভবনটির পাশে নালা খননের কাজ চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ কারণে ভবনটি হেলে পড়েছে। 

জানা গেছে, জলাবদ্ধতা কমাতে নগরীর প্রায় ১৬টি ছোট-বড় খাল এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নত করতে শহরজুড়ে সিডিএর পক্ষে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় প্রকল্পের কাজ শেষের দিকে বলে জানান সিডিএর কর্মকর্তারা।
বায়েজিদ বোস্তামী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‌‘স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যায়। ভবনের সাতটি ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের তাৎক্ষণিক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভবনটির পেছনেই খালটির অবস্থান’।
‘নিরাপত্তার কারণে আমরা খোরশেদ ম্যানসনসহ পাশের আরও দুটি আবাসিক ভবন- একটি পাঁচতলা ভবন এবং একটি দ্বিতল ভবন থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়েছি’- বলেন তিনি।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভবনটি যেখানে হেলে পড়েছে, সেখানে শীতল ঝর্ণা খালে সিডিএর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ চলমান। এ বিষয়ে আমরা জমির মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা এখন পর্যন্ত ঘটনাস্থলে সংশ্লিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষকে পাইনি। এখন বিশেষজ্ঞরা ভবনগুলোর ভাগ্য নির্ধারণ করবে ‘।
এ বিষয়ে সিডিএ’র প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শাহ আলী বলেন, ‘ভবনটির পাইলিং দুর্বল হওয়ায় এমনটি হয়েছে। আমরা এখনো খনন কাজই শুরু করিনি। আমরা রেটেইনিং ওয়াল দেওয়ার জন্য খালের পাড়ে স্টিল শিট পাইলিং করছিলাম। এখানে আমাদের কোনো দোষ নেই। দুর্বল পাইলিংয়ের কারণে মেশিনের কম্পনের ফলে ভবনটি হেলে পড়তে পারে, তবে এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত নই। আমরা সমস্যাগুলো পরীক্ষা করছি’।
তদন্ত কমিটিতে সিডিএ, চসিক, পুলিশ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ফায়ার সার্ভিস ও গণপূর্তের প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। তদন্ত কমিটি পরিদর্শন করে প্রতিবেদন জমা দেবে।
এর আগে, ২০২১ সালেও চট্টগ্রামের মাঝিরঘাট এলাকায় গুলজার খালের খনন কাজের সময় একটি ভবন হেলে পড়লে তিনটি ভবন এবং পাঁচটি টিনের ছাদযুক্ত বাড়ি থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর