পাহাড় ধসের শঙ্কায় খোলা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র, সরছে না ঝুঁকিতে থাকা বাসিন্দারা

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
বৃষ্টিতে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের শঙ্কায় ঝুঁকিতে থাকা লোকজনকে সরিয়ে নিতে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছে জেলা প্রশাসন। লোকজনকে নিরাপদ সরে যেতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। তবে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে ইচ্ছুক নন পাহাড়ের পাদদেশে অবৈধভাবে বসবাসকারী ঝুঁকিতে থাকা বাসিন্দা। দ্রুততার সাথে তারা আশ্রয় কেন্দ্রে না গেলে জোরপূর্বক সরিয়ে নেয়ার হুঁশিয়ারিও দিচ্ছে প্রশাসন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক জানান, ভারি বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্র করা হয়েছে। সকাল থেকে মাইকিং করে তাদের সরে যেতে বলা হচ্ছে। কিছু সংখ্যক লোক আশ্রয় কেন্দ্রে গেলেও বেশিরভাগ যায়নি। আমরা সন্ধ্যার মধ্যে তাদের সরিয়ে নেব’।
শনিবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৮৬ মিলিমি টার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে চট্টগ্রাম আমবাগান আবহাওয়া অফিস।
আগামি ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি আরও বাড়ার শঙ্কার কথা জানিয়ে চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল বলেন, ‘আজ রাত ১২ টার থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে চট্টগ্রামে, যা আগামিকাল (রবিবার) সারাদিন স্থায়ী থেকে পরশুদিনও (সোমবার) থাকতে পারে’।
সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল বলেন, ‘মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে, যা স্বাভাবিক বিষয়’।
টানা গরমের পর বৃহস্পতিবার থেকে চট্টগ্রামে বৃষ্টি শুরু হয়। যা ওইদিন রাত থেকে বেশিমাত্রায় হতে থাকে।
রাতভর বৃষ্টিতে শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীতে জলাবদ্ধতা দেখা যায়। সাড়ে ৭ টার দিকে নগরীর অন্যতম প্রধান লালখান বাজার-টাইগার পাস সড়কের পাশে পাহাড়ের একাংশ ধসে রাস্তায় একটি মাইক্রোবাসের উপরে পড়ে। সড়কটির এক পাশ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর দুই ঘণ্টার চেষ্টায় মাটি সরিয়ে রাস্তা সচল করা হয়।
শুক্রবার দুপুরের পর বৃষ্টি বন্ধ হলেও শনিবার (৫ আগস্ট) ভোর থেকে তা পুনরায় বাড়তে থাকে। শনিবার (৫ আগস্ট) সকাল থেকে চট্টগ্রামে বিভিন্ন মাত্রায় বৃষ্টি হচ্ছে।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর