ঝড়ে অন্ধকারে সীতাকুণ্ড মিরসরাই ও সন্দ্বীপ

উত্তর চট্টগ্রাম প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
কালবৈশাখীর ঝড়ে সঞ্চালন লাইনে গাছ উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎহীন অন্ধকারে পতিত হয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, মিরসরাই, ও সন্দ্বীপ উপজেলা। সোমবার (৬ মে) বিকেলে ঝড়ের পর এ ঘটনা ঘটে। ফৌজদারহাট থেকে আসা বিদ্যুতের মূল লাইনও বন্ধ থাকায় কবে নাগাদ বিদ্যুৎ লাইন সচল হবে তাও নিশ্চিত করতে পারছে না বিদ্যুৎ বিভাগ। বাড়বকুন্ড বিদ্যুৎ অফিসের কন্ট্রোলার দাউদুল ইসলাম বলেন, ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে বৈদ্যুতিক বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে এবং তার ছিড়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। গ্যাস লাইনের কাজ করার সময় মাটি খোঁড়ার কারণে গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে। এই কারণেই গাছ, বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। ফৌজদারহাট থেকে আসা বিদ্যুতের মূল লাইনও বন্ধ রয়েছে। যার কারণে সীতাকুণ্ড, মিরসরাই ও সন্দীপ সম্পূর্ণ বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে। কবে নাগাদ লাইন স্বাভাবিক হবে তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।
এর আগে বিকেল ৩টার দিকে শুরু হওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার পৌরসভার পন্থিছিলা এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে বড় আকারের অন্তত ছয়টি গাছ উপড়ে পড়ে সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। এক পর্যায়ে ভারী বৃষ্টি ও বজ্রপাত বন্ধ হলে স্থানীয় লোকজন গাছ সরানোর কাজে এগিয়ে আসে। খবর পেয়ে কুমিরা হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম ও ফায়ার সার্ভিস এর একটি টিম স্থানীয়দের সাথে যোগ দেয়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর মহাসড়ক থেকে গাছগুলো সরানো হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে দুই ঘণ্টা মহাসড়ক বন্ধ থাকার ফলে অন্তত ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা ফায়ার ফাইটার মো. আসিক বলেন, বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম প্রায় দেড় ঘণ্টারর চেষ্টায় মহাসড়ক থেকে গাছগুলো সরাতে সক্ষম হয়’।
কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কে গাছ উপড়ে পড়ার খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ও স্থানীয় লোকজন গাছ সরানোর কাজ শুরু করে। পরে সার্ভিসের একটি টিমও কাজে যোগ দেয়। গাছ উপড়ে পড়ার সময় সেই স্থানে কোনো গাড়ি না থাকাতে কোনো দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেনি।

ডিসি/এসআইকে/এসইউআর