চট্টগ্রামে মৃত্যু ৭, আক্রান্ত ৮৬

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
চট্টগ্রাম জেলায় নতুন করে আরো ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।  তার নাম নুরুল আছার চৌধুরী।  এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট ৭ জনের মৃত্যু হলো করোনা ভাইরাসে।  অন্যদিকে আরো ৫ জনের মধ্যে নতুন করে কোভিড- ১৯ সনাক্ত হওয়ায় জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬ জনে।  চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এ তথ্য জানিয়ে বলেন, রবিবার (৩ মে) চট্টগ্রামের বিআইটিআইডি ল্যাবে ১৮৩টি নমুনা পরীক্ষায় পাঁচজনের করোনা শনাক্ত হয়।  এরমধ্যে মৃত নুরুল আবছারও রয়েছেন।  আক্রান্তদের দু’জনের ঠিকানা হিসেবে নগরের দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের কথা উল্লেখ আছে।  তাদের বয়স যথাক্রমে ৩৮ ও ৫৫ বলে তিনি জানান।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় আক্রান্তের মধ্যে নগরের ৫৪ জন, সাতকানিয়া উপজেলার ১৬ জন, লোহাগাড়া উপজেলার ১ জন, সীতাকুণ্ড উপজেলার ৩ জন, বোয়ালখালী উপজেলার ২ জন, পটিয়া উপজেলার ২ জন, চন্দনাইশ উপজেলার ২ জন, মিরসরাই উপজেলার ২ জন, আনোয়ারা উপজেলার ১ জন, সন্দ্বীপ উপজেলার ১ জন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ১ জন এবং ফটিকছড়ি উপজেলার ১ জন রয়েছেন।
সূত্রে জানা গেছে, ৫৫ বছর বয়সী নুরুল আবছার চৌধুরী নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন মোহরার আলম খান চৌধুরী বাড়ির বাসিন্দা।  তিনি অন্তত চারদিন আগে মারা গেছেন।  মৃত্যুর পর নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে।  তার মেয়ে জানান, গত ২৬ এপ্রিল অসুস্থ হয়ে পড়েন বাবা।  এরপর ২৭ এপ্রিল তাকে বিআইটিআইডিতে ভর্তি করা হয়।  ২৮ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করা হলে তিনি বাড়িতে ফিরে যান।  এরপর ৩০ এপ্রিল মারা যান।  মৃত্যুর পর করোনা আতঙ্কে স্থানীয় মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনরা বাবার দাফন-কাফনে এগিয়ে আসেননি।  ১ মে গাউসিয়া কমিটির সদস্যরা পিপিই পরিধান করে দাফন সম্পন্ন করেন।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের একাধিক সূত্র তাদের এক সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে স্বীকার করেছে।  তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালে ভর্তি আছেন।  তবে মৃত ব্যক্তির বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে সূত্র জানায়।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানিয়েছেন, বিআইটিআইডিতে বাকি যে তিনজনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে তাদের একজন চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মচারী।  তার বাড়ি ইপিজেড থানার সল্টগোলা ক্রসিংয়ের নিউমুরিং রোডে।  ৬২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি বর্তমানে বিআইটিআইডিতে ভর্তি আছেন।  এছাড়াও ২২ জন সুস্থ হয়ে বাড় ফিরেছেন।  আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৬১ জন।

ডিসি/এসআইকে/এমএস