‌‘দুই নেত্রীই আমার খোঁজ নিয়েছেন’

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
করোনা আক্রান্ত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর খোঁজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।  এ বিষয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অন্যতম ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে আমিই একমাত্র সৌভাগ্যবান রোগী, যার খোঁজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিয়েছেন।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি কেবিন প্রস্তুত করে দিয়েছেন আমার জন্য।  আমার খোঁজ নিয়েছেন।  একই দিনে দুই-এক ঘণ্টার ব্যবধানে খালেদা জিয়াও ফল পাঠিয়েছেন।  দু’জনের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।  আমি দেশবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ’।
আজ বুধবার (২৭ মে) বিকালে একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এসব কথা বলেন।  গত রবিবার থেকে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর আজ তার শরীর উন্নতির দিকে বলে জানান তিনি।  মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া তার খোঁজ নেন বলে জানান তিনি।  মঙ্গলবার (২৬ মে) ডায়ালাইসিস করিয়েছেন জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, বিশেষ ব্যবস্থায় সামাজিক দূরত্ব মেনে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে গতকাল ডায়ালাইসিস করিয়েছি।  এই চিকিৎসা আমাকে নিয়মিত নিতে হয়।  তিনি বলেন, ‘আমি দেশবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ।  সাধারণ মানুষের এত ভালোবাসা, এটাই আমার শক্তি।  আমার উন্নতি হচ্ছে, আমার ধারণা।  আমার জন্য অনেকে তাহাজ্জুতের নামাজের পর দোয়া করেছেন, নামাজ পড়েছেন।  আমি এই ভালোবাসার কারণেই টিকে আছি।  আমি যেন সামগ্রিকভাবে কাজগুলো করতে পারি, দেশবাসীর কাছে সেই দোয়া চাই’।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘গতকাল আমাকে ফোন করা হলো।  ঢাকা মেডিকেল থেকে একজন কর্মকর্তা কর্নেল সাজ্জাদ আমাকে জানান যে আপনার জন্য কেবিন রেডি করা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থাপনায়।  পরে তাকে আমি বলি, আমার জন্য আলাদা কক্ষের দরকার নেই।  অনেক ধন্যবাদ।  অনেক লোকের দরকার।  আমি তো খুব সম্মানিত বোধ করছি।  হোয়াট অ্যা সারপ্রাইজ, আমি তো বললাম যে, আমাদের একমাত্র কামনা, সম্মিলিতভাবে আমাদের যে চেষ্টা, তা অব্যাহত রাখতে হবে।  আমি খুব সম্মানিত বোধ করছি।  নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি’।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘একদিন আগে মুক্তিযোদ্ধারা কয়েকজন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্ভবত কোনোভাবে যোগাযোগ করে বলেছেন, আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, যে সহায়তা তিনি করেছেন।  আমি বলেছি যে এটাতে খুবই গ্রেটফুল আমি, মুক্তিযোদ্ধারা বলেছেন।  আমার কেবিনের দরকার নাই, আমার কাজ হচ্ছে বাসায় থাকা।  এখন চিকিৎসাই হলো প্যারাসিটামল খেতে হবে, গরম পানি খেতে হবে, মধু খেতে হবে।  আমার একমাত্র কামনা যে তারা (শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়া) দু’জনেই বাংলাদেশের জন্য কাজ করবেন’।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ