৬ দিনে প্রায় দুই লাখ টাকার বিল ম্যাক্স হাসপাতালের!

ফাইল ছবি।

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
চট্টগ্রাম নগরের বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালের বিরুদ্ধে ভুতুড়ে বিল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।  মাত্র ছয় দিন চিকিৎসা দিয়ে ১ লাখ ৯৩ হাজার টাকার বিল দিয়েছে হাসপাতালটি।  রোগীকে হাই ফ্লো অক্সিজেন না দিয়েও দাম রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ রোগীর স্বজনের।  আজ শনিবার (৪ জুলাই) সকালে শফিউদৌল্লাহ খান নামে ৭৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ ম্যাক্স হাসপাতালে মারা যাওয়ার পর হাসপাতাল থেকে পাওয়া বিলে বিভিন্ন অসঙ্গতি পান বলে জানান মৃতের শ্যালক ইয়াসির আরাফাত।
তিনি বলেন, গত ২৯ জুন শ্বাসকষ্ট নিয়ে ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় আমার দুলাভাইকে।  গত তিন দিন ধরে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয় তাকে।  চিকিৎসকরা হাই ফ্লো অক্সিজেন দেওয়ার কথা বললেও তা দেওয়া হয়নি।  কিন্তু হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত বিলে হাই ফ্লো অক্সিজেনের দাম বাবদ ২৫ হাজার টাকা চার্জ করা হয়।  এ ছাড়াও চিকিৎসকদের বিল বাবদ ধরা হয়েছে ৯ হাজার টাকা।  অথচ একজন চিকিৎসক মাত্র দুই বার রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছেন।  শুধু তাই নয়; রোগীর তিন দিনের অক্সিজেনের বিল বাবদ রাখা হয়েছে ৪১ হাজার টাকা।  সব মিলিয়ে ১ লাখ ৯৩ হাজার টাকা বিল আসে।
তিনি আরও বলেন, বিল হাতে পাওয়ার পর বিষয়গুলো নিয়ে প্রতিবাদ করলে বেশ কিছুক্ষণ বাকবিতণ্ডার পর এক দফা টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৫১ হাজার ৮১৪ টাকার আরেকটি বিল দেয়।  পরে আরও কিছুক্ষণ কথা কাটাকাটি করলে তৃতীয় দফায় বিল কমিয়ে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা করা হয়।  পরে অবশ্য এমন ভুতুড়ে বিল নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেছেন।  কিন্তু হাসপাতালগুলোর এমন আচরণ হলে সাধারণ রোগীরা কোথায় যাবে।
হাসপাতালটির মহাব্যবস্থাপক রঞ্জন প্রসাদ দাস বলেন, অক্সিজেনের বিল নিয়ে সামান্য ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল।  বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।  এ ছাড়া যেহেতু রোগী মারা গেছে তাই সব কিছু বিবেচনা করে হাসপাতালের বিল আরও অনেক কমানো হয়।
এর আগেও হাপাতালটির বিরুদ্ধে রোগী মৃত্যুসহ বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া যায়।  সর্বশেষ ওই হাসপাতালে কর্মরত এক চিকিৎসক চিকিৎসা না পাওয়া অভিযোগ করেন।
২০১৯ সালের ২৯ জুন রাতে ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সাংবাদিক রুবেল খানের মেয়ে রাইফা খান।  মৃত্যুর পর থেকেই রাইফার পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা এবং দায়িত্বরত চিকিৎসকদের ভুল চিকিৎসা ও অবহেলার কারণেই অকাল মৃত্যু ঘটে রাইফার। খবর বাংলানিউজের

ডিসি/এসআইকে/এসএজে