করোনার চরম ঝুঁকিতে আবারো চট্টগ্রাম, নতুন শনাক্ত ২৪২ জন

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
ঢাকার পর হঠাৎ করেই করোনার বিস্ফোরণ ঘটেছিল বন্দর নগরী চট্টগ্রামে।  পর্যাপ্ত শনাক্ত ব্যবস্থা না থাকা, ভুল রিপোর্ট, করোনার টেস্ট রিপোর্ট দেরিতে পাওয়া, নানান ভোগান্তি- ইত্যাদির ফলে মানুষ এক সময় করোনা টেস্ট থেকে বিরত থাকতে শুরু করে।  এখনো এই অনীহা মানুষের মধ্যে রয়ে গেছে বলে সংশ্লিষ্টরা স্বীকার করেছেন।  সেই হিসেবে চট্টগ্রামে নমুনা সংগৃহিত হচ্ছে খুবই কম।  এই কম নমুনার মধ্যেও যে পরিমাণ মানুষ করোনায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত হচ্ছেন তার পরিসংখ্যানও রীতিমতো শঙ্কায় ফেলেছে সংশ্লিষ্টদের।
সর্বশেষ রবিবারের (২২ নভেম্বর) প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪২ জন।  আগের দিন শনিবার এই সংখ্যা ছিল মাত্র ৬৪ জন।  তারও আগের দিনগুলো তা ছিল ১০০-১২০ জনের মধ্যে।  কিন্তু গত ২৪ ঘন্টায় তা এক লাফে দ্বিগুনে চলে যাওয়ায় শঙ্কা ভর করছে সংশ্লিষ্টদের ঘাড়ে।  নতুন করে ২৪২ জনের দেশে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার মাধ্যমে এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৩ হাজার ৮৭০ জনে।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, গত ২৪ ঘণ্টার নমুনা পরীক্ষায় ২৪২ জন নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন।  নতুন আক্রান্তদের মধ্যে নগরে ২০০ জন এবং উপজেলায় ৪২ জন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সংক্রমণের মাত্রা বাড়ছে।  স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং মাস্ক পরিধান না করলে এই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে না।
রবিবার (২২ নভেম্বর) রাতে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাব ও চট্টগ্রামের ৮টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ২৭০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।  এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১৪৮টি, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ২৭৭টি, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৩৫৬টি এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৪২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
নমুনা পরীক্ষা শেষে দেখা যায়, চবি ল্যাবে ৫৮ জন, বিআইটিআইডিতে ১৪ জন, চমেক ল্যাবে ৫৯ জন এবং সিভাসু ল্যাবে ৯ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
এছাড়া বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১৩৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪৬ জন, শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ২৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ৫০ জন এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩১টি নমুনা পরীক্ষা করে ৬ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে।  অন্যদিকে একই দিন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।  তবে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ৬টি নমুনা পরীক্ষা করে কারো শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেনি।

ডিসি/এসআইকে/এমএনইউ