‘মসজিদে সেহরি-ইফতারি নয়’সহ নতুন কিছু নির্দেশনা সরকারের

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবজনিত কারণে সারাদেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার অস্বাভাবিকভাবে বাড়ায় শর্তসাপেক্ষে মসজিদে জামাতের নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।  একই সঙ্গে রমজানে মসজিদে সেহরি ও ইফতারি করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার (৫ এপ্রিল) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এসব নির্দেশনা জারি করে।
নির্দেশনাগুলো হচ্ছে-
> মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত            মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।
> প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে, সুন্নত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং          ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
> মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না।  পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে                পরিষ্কার করতে হবে, মুসল্লিদের প্রত্যেককে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে।
> কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
> শিশু, বয়ঃবৃদ্ধ, যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামাতে অংশগ্রহণ থেকে       বিরত থাকবে।
> সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদের ওজুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।  মসজিদে              সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
> সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী             বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
> মসজিদে ইফতার ও সেহরির আয়োজন করা যাবে না।
> করোনা ভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে খতিব        ও ইমামরা দোয়া করবেন।
এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে মসজিদের খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটিকে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।  এতে আরও বলা হয়, এসব নির্দেশনা লংঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।  প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদ পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ