চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত শতভাগ শিশুর দেহে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট : গবেষণা

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শতভাগ শিশুর দেহে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন একদল গবেষক।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি নবজাতক থেকে ১৬ বছর বয়সী ১২ শিশুর করোনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করার পর গবেষণায় আজ সোমবার এ তথ্য উঠে আসে।
গবেষণা দলের নেতৃত্বে ছিলেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. এইচ এম হামিদুল্লাহ মেহেদী ও ডা. আব্দুর রব মাসুম এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চিকিৎসক ও অধ্যাপক ডা. সঞ্জয় কান্তি বিশ্বাস ও ডা. নাহিদ সুলতানা।
গবেষক দলে আরো ছিলেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মো. মিনহাজুল হক, রাজদীপ বিশ্বাস ও আকরাম হোসেন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ডা. ফাহিম হাসান রেজা।  সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) ভাইরোলজি বিভাগের গবেষক দল।  এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন বিজ্ঞানী ড. মুস্তাফিজুর রহমান এবং ড. মোহাম্মদ এনায়েত হোসেন।
গবেষণায় প্রাপ্ত সিকোয়েন্স-ডেটা জার্মানি থেকে প্রকাশিত ভাইরাসের আন্তর্জাতিক তথ্যভাণ্ডার সংস্থা ‘গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটা’-তে গৃহীত হয়েছে।
গবেষণায় দেখা যায়, আক্রান্ত শিশুদের ৮০ ভাগেরই বয়স ১০ বছরের নিচে।  সর্বনিম্ন আট মাস বয়েসের শিশুর মাঝে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।
এই গবেষক দলের অন্য গবেষণা অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্ক কোভিড-১৯ রোগীদের মাঝে ৮০ ভাগ রোগী পুরুষ হলেও শিশুদের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে।  মেয়ে শিশুরাও সমানভাবে এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত ও আক্রান্ত হচ্ছে।  ৫০ ভাগ ছেলে শিশু এবং ৫০ ভাগ মেয়ে শিশুর মধ্যে এই ভ্যারিয়েন্ট এর উপস্থিতি দেখা গেছে।  ৯৫ ভাগ শিশুর মাঝেই জ্বরের লক্ষণ এবং ৭০ ভাগ শিশুর সর্দি ও কাশি ছিল।  এর মধ্যে একজন শিশু পুরোপুরি উপসর্গহীন ছিল।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর