চমেক হাসপাতালে ‘ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি কেয়ার’ এ মিলবে সব জরুরি সেবা

বিশেষ প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
বহু প্রতীক্ষা শেষে চট্টগ্রামবাসী সুখবর পেতে যাচ্ছেন।  এই অঞ্চলের মানুষ জরুরি বিভাগের নানান সীমাবদ্ধতার কারণে এতোদিন দুর্ভোগ পোহালেও সেই দুর্ভোগের অবসান হতে যাচ্ছে সেপ্টেম্বরেই।  জরুরি বিভাগে আগত রোগীর সেবা দ্রুত নিশ্চিত করতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চালু হচ্ছে ‘ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি কেয়ার’।  ইতোমধ্যে অবকাঠামোগত সব কাজ সম্পন্ন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।  সব কিছু ঠিক থাকলে আগামি ৪ সেপ্টেম্বর এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে খুলে দেয়া হবে সেবার আধুনিক এই বিভাগ।
দ্রুত সেবাদানের এই বিভাগটি চালু হলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সেবা নিতে আসা রোগীদের তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা সেবা দেওয়া যাবে।  সেই সঙ্গে বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীর চাপ কমানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।  প্রায় চার কোটি টাকায় এ প্রকল্প বাস্তবায়নে বরাদ্দ দেয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।  প্রথম পর্যায়ে ২ কোটি টাকা এবং পরে আরও দুই পর্যায়ে ২ কোটি টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়।  প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগ-১।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি কেয়ারে রোগীদের জন্য থাকছে ১০০ শয্যা।  রোগীদের সেবায় সার্বক্ষণিক (শিফট ভিত্তিতে) থাকবে মেডিসিন, সার্জারি, কার্ডিওলজি, অর্থোপেডিক, নাক-কান-গলা এবং অ্যানেসথেসিয়াসহ প্রয়োজনীয় সব বিভাগের একজন করে কনসালটেন্ট।  থাকবে জরুরি রোগ নির্ণয়ের জন্য এক্স-রে, স্থাপন করা হবে দু’টি অপারেশন থিয়েটার (ওটি)।  এছাড়া পর্যায়ক্রমে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ) ও ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) শয্যা যুক্ত করার পরিকল্পনাও রয়েছে কর্তৃপক্ষের।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবীর জানান, একজন রোগী এই বিভাগে আসার সাথে সাথেই ‘ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি কেয়ার’ এ রাখা হবে।  দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্সেরা প্রথমে রোগীকে অবজারভেশনে রাখবেন। এরপর রোগীর অবস্থা বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের কাছে পাঠাবেন।  চিকিৎসকবৃন্দ রোগীকে পর্যবেক্ষণ করবেন।  পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন হলে সেটাও এখানে করা হবে।  প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর চিকিৎসকরা যেসব রোগীকে সুস্থ মনে করবেন বা চিকিৎসার প্রয়োজন নেই মনে করবেন, তাদের এখান থেকেই বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে।  যেসব রোগীর দীর্ঘ মেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন, শুধু সেসব রোগীকেই আন্তঃবিভাগে ভর্তি দেওয়া হবে।  আমরা আশা করছি আগামি
৪ সেপ্টেম্বর এ বিভাগটির উদ্বোধন করা সম্ভব হবে।  আমরা এরইমধ্যে বেশ কিছু যন্ত্রপাতি বসানো শেষ করেছি।  বাকিগুলোও পর্যাক্রমে বসানো হবে।  তিনি এ জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর