করোনায় সারাদেশে আরও ১১ জনের মৃত্যু

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।  এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ১৬ জনের।  একই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪০৬ জন।  সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৪১ হাজার ৫৭ জনে।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৯৩৬ জন।  এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৭ লাখ ৯৩ হাজার ৮২ জন।  সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৭৫টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৫ হাজার ৭০২টি এবং নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৫ হাজার ৬৬৭টি।  এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১ কোটি ৩৩ লাখ ৩৬ হাজার ৮৮৬টি।
এতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার পাঁচ দশমিক ৪৮ শতাংশ।  এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ।  শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৩৮ শতাংশ।  শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১১ জনের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও ছয়জন নারী রয়েছেন।  মৃত ১১ জনের শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে একজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে তিনজন ও ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে তিনজন রয়েছেন।
এতে আরও বলা হয়, মৃত ১১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের একজন, চট্টগ্রাম বিভাগের চারজন, রাজশাহী বিভাগের একজন, খুলনা বিভাগের একজন, বরিশাল বিভাগের দুজন, সিলেট বিভাগের দুজন মারা গেছেন। মৃত ১১ জনের মধ্যে নয়জন সরকারি হাসপাতালে ও দুজন বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ২২৯ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১ হাজার ২৫৬ জন।  এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৪ লাখ ৪১ হাজার ২৭৮ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৬৫৭ জন।  বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৪৬ হাজার ৬২১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়।  এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।  এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ