ই-সিগারেটের প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ফুসফুস আক্রান্ত হয়ে ১৮ জনের মৃত্যু

ই-সিগারেটে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে বলে গবেষণা বলছে।

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক : ই-সিগারেট বা ভ্যাপিংয়ের মাধ্যমে মৃত্যুর হার ক্রমেই বাড়ছে। ভারতের পর ই-সিগারেট বা ভ্যাপিংসহ টোব্যাকো পণ্য উৎপাদন ও আমদানি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে বাংলাদেশ সরকারও। যুক্তরাষ্ট্রে এর প্রভাব মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। দেশটিতে আরো প্রায় ১ হাজার ই-সিগারেট ব্যবহারকারী ফুসফুস রোগে আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এই তথ্য জানায়। তবে কর্মকর্তারা গত জুন মাস থেকে তদন্ত করলেও এ রোগের সঠিক কারণ অনুসন্ধান করতে পারেননি। এনডিটিভি

গত মাসে নর্থ ক্যারোলিনা ক্লিনিকের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এয়ারোসোলাইজড তেল এবং চর্বিজাতীয় পদার্থ গ্রহণ করার ফলে নিউমোনিয়া হয়ে থাকে। এই সপ্তাহে মায়ো ক্লিনিকের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফুসফুস আক্রান্ত হওয়ার জন্য বিষাক্ত ধোয়া দায়ী।

ই-সিগারেটে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে বলে গবেষণা বলছে।

জ্যেষ্ঠ রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধক কর্মকর্তা আন্নি ছুচাট সাংবাদিকদের জানান, ‘ই-সিগারেট অথবা ধোয়া জাতীয় পদার্থগুলোতে বিষাক্ত নিকোটিন থাকে যা ফুসফুস রোগের প্রধান কারণ’।

নতুন রোগীর সংখ্যা নিয়ে সিডিসি গত দুই সপ্তাহের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, এক সপ্তাহে ফুসফুস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৮০ জন থেকে বেড়েছে ২ শত ৭৫ জন। সাংবাদিকরা ৫৭৮ জন রোগীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭৮ শতাংশ টেরাহাইড্রোক্যানাবিনল (টিএইচসি) বা তামাকবিহীন পণ্য ব্যবহার করতো, ৩৭ শতাংশ নিষিদ্ধ টিএইচসি পণ্য ব্যবহার করতো এবং ১৭ শতাংশ রোগী বলছে তারা তামাক জাতীয় পণ্য ব্যবহার করতো। রোগীদের মধ্যে ৭০ শতাংশই পুরুষ যাদের মধ্যে ৮০ শতাংশের বয়স ৩৫ বছরের কম।

টিএইচসি হলো গাঁজার প্রধান উপাদান। ২০০৬ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ই-সিগারেট ব্যবহার শুরু হয়। ২০১৯ সালের একটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত মাসে স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে ই-সিগারেট ব্যবহার করার প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মাসে ই-সিগারেট ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন বিশেষ করে তরুণদের জন্য।যুক্তরাষ্ট্রের মতো ভারতেও ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা হয়েছে।