১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে কষ্ট পাবে না কেউ- হিরণ

রাতে কাউন্সিলর হিরণের খাদ্যপণ্য সরবাহের দৃশ্য।

খুলশী প্রতিনিধি >>>
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকার ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ড। দেশের প্রায় জেলার মানুষ এখানে বসবাস করেন। জনসংখ্যার দিক দিয়েও বেশ জনবসতিপূর্ণ এই এলাকা। এখানে স্থানীয় মানুষের চেয়েও অন্য জায়গা থেকে এখানে বসবাস গড়া মানুষের সংখ্যাও বেশি। রয়েছে চট্টগ্রামের সবচাইতে বড় বিহারী ক্যাম্প। এসব মানুষের মধ্যে অধিকাংশই দিন-মজুর-শ্রমিক। অন্যদিকে সারা বিশ্বের ২০০ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। মৃত্যুর সংখ্যাও অর্ধলাখে ঠেকেছে। এই পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বে চলছে কাউফিউ ও লকডাউন। বাংলাদেশে লকডাউনের ঘোষণা না থাকলেও অঘোষিতভাবে চলছে লকডাউন। ফলে এই সমস্ত দিন মজুর-শ্রমিকদের পরিবারগুলো পড়েছেন অর্থকষ্টে। আয়-রোজগার না থাকায় পড়েছেন নিদারুণ কষ্টে।
সরকারের পক্ষ থেকেও ইতোমধ্যে প্রকৃত দরিদ্রদের তালিকা করে তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তা দিতে নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। চট্টগ্রামেও এর ব্যতিক্রম নয়। ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে এই সমস্ত হতদরিদ্র পরিবারগুলো যাতে কষ্টে না পড়ে সে জন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন হিরণের নেতৃত্বে চলছে নানান কর্মসূচি। তাঁর সাথে যোগ দিয়েছেন এ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরপ্রার্থী (রেডিও প্রতীক) মাহামুদুর রহমান, নাহার এগ্রো গ্রুপ অব কোম্পানীজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাকিবুর রহমান টুটুলসহ ওয়ার্ডের নানান শ্রেণি-পেশার মানুষ।
কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন হিরণের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত (৩০ মার্চ রাত ১২ টা) কাউন্সিলরের পরিবার বিশেষত কাউন্সিলরের মেয়ে ও ছেলের সহযোগিতায় ওয়ার্ডের ১ হাজার পরিবারকে চাউল, ডাল, তেল, আলু ও ডিম বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও কাউন্সিলরের পক্ষ থেকে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়েছে। প্রায় ৭০ হাজার টাকা নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে।
মোহাম্মদ হোসেন হিরণ দৈনিক চট্টগ্রামকে জানিয়েছেন, সরকার থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত ৪৮৮ কেজি চাউল, ১০০ কেজি ডাল ৯৭ টি পরিবারেরমাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এর বাইরেও নাহার এগ্রো গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাকিবুর রহমান টুটুলের বরাদ্দকৃত ইউকের তৈরি জিপিএইচসি ১০০ লিটার জীবাণুনাশক, ৫০০ পিস হ্যান্ড স্যানিটাইজার এলাকায় বিতরণ ও স্প্রে করা হয়েছে।

রেডিও প্রতীকের কাউন্সিলরপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মাহমুদুর রহমানের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ওয়ার্ডের ১২০০ পরিবারের মাঝে ৩৭০০ কেজি চাউল, ৩৭০০ কেজি আলু, ৫০০ কেজি ডাল, ৫০০ কেজি পেঁয়াজ, আধা লিটার করে মোট ৯০০ লিটার তেল ওয়ার্ডের সরদারনগর স্কুল ক্যাম্প, লিচু মাঠ, বিডাব্লিউ-১, বিডাব্লিউ-৪, এল-৯৪, ঝাউতলা কমিশনার গলি, আমবাগান এলাকায় বিতরণ করা হয়েছে। মাহমুদুর রহমান দৈনিক চট্টগ্রামকে বলেন, আমরা এই ওয়ার্ডে যেসব পরিবারকে দুর্যোগকালীন সহায়তা দিচ্ছি তা বিচ্ছিন্নভাবে দিচ্ছি না। সম্মানিত কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন হিরণের সাথে সমন্বয় করে আমরা দিচ্ছি। এই কার্যক্রম এই দুরবস্থা শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলবে। এখানকার কেউ যেন খাদ্য সংকটে না পড়ে, কেউ যেন নিজেদের অসহায় না ভাবে আমরা সেভাবেই কাজ করছি। কাউন্সিলর মহোদয় দিন-রাত এসব কাজ সমন্বয় করে পরিচালনা করছেন।

ডিসি/এসআইকে/ইউএস