করোনায় কেমন আছেন ফটিকছড়ির মানুষ?

মোহাম্মদ জিপন উদ্দিন, ফটিকছড়ি প্রতিনিধি >>>
বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়া করোনা (কোভিট-১৯) মহামারি ভাইরাস গ্রাস করেছে পৃথিবীর ছোট-বড় প্রায় ২০০ টি দেশকে, যে তালিকায় আছে বিশ্বের সর্বাধুনিক ও সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্রগুলোও। এমতাবস্থায় সব রাষ্ট্র মহামারী ভাইরাসে প্রায় অচলায়তন হয়ে গেছে। এমন সময়ে কিভাবে কাটছে ফটিকছড়ি মানুষের দিনকাল? প্রশাসনসহ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে কেমন সহযোগিতা পাচ্ছেন তারা?
উত্তর চট্টলার সর্ববৃহৎ উপজেলা ফটিকছড়ি, যেখানে ২০১১ আদমশুমারী অনুযায়ী মোট জনসংখ্যা ৫,২৬,০০৩ জন। যার বেশিরভাগ প্রবাসী এবং বাকীরা শ্রমিক, খেটে খাওয়া মানুষ। করোনায় সবচেয়ে ঝুঁকিতে যেহেতু চট্টগ্রাম সে অনুযায়ী ফটিকছড়িতেও নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন উদ্যোগ। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ‘গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজ ছাড়া কেউ বাইরে যেতে পারবেন না, সব ধরণের সভা-সমাবেশ,বিয়ে এবং কোনো ধরণের সামাজিক অনুষ্ঠান করা যাবে না। শুধুমাত্র ঔষুধের দোকান, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান ছাড়া বাকি সব দোকান বন্ধ রাখতে হবে এবং কোনো ধরণের খেলাধুলা করা যাবে না। এমন পরিস্থিতিতে বলা যায় ফটিকছড়ি পুরোপুরি যেন হোম-কোয়ারেন্টিনেই আছে। প্রশাসনিক এ আইন অনেকে মেনে চললেও ছেলেরা মাঠে খেলাধুলা করছে। এখনো অসচেতনভাবেই দিন কাটাচ্ছে ফটিকছড়ির দূর্গম এলাকার মানুষেরা। সারা বাংলাদেশের ন্যায় ফটিকছড়িতে সরকারি ত্রাণ এসেছে ১৭০০ পরিবারের জন্য। সে সাথে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০০ পরিবারের ত্রাণ যুক্ত করে মোট ১৯০০ পরিবারের মাঝে দেওয়া হচ্ছে। একই সাথে এগিয়ে আসছেন বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও বিত্তবানরাও; যারা ত্রাণ, মাস্ক ও জীবাণুনাশক বিতরণ করেছেন অসহায়দের মাঝে।
জানতে চাইলে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সায়েদুল আরেফিন জানান, আমাদের কাছে সরকারি ত্রাণ এসেছে মোট ১৭০০ পরিবারের জন্য। এর সাথে আমাদের উদ্যোগে ২০০ পরিবারের জন্য বাড়িয়ে মোট ১৯০০ পরিবারকে ত্রাণ বিতরণ করছি। তবে বৃহৎ এ ফটিকছড়ি’র জন্য ত্রাণ খুব কম। আশা করছি সরকারি তহবিল থেকে আমরা আরও ত্রাণ পাবো। যদি পাই তাহলে যারা এখনো সহায়তা পাননি তাদের মাঝে বিতরণ করব। যারা একবার পেয়েছেন তাদের এ তালিকায় রাখা হবে না। একই সাথে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

ডিসি/এসআইকে/এমজেইউ