দায়িত্ব নিয়ে বলছি‌- চট্টগ্রামের বাইরে থেকে একজনও আসেনি : আ জ ম নাছির

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, গতকালের জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। জনসভার মঞ্চ থেকে আমরা মাঠের চিত্র দেখেছি। পরে আমরা বাইরের অবস্থাও দেখেছি। সবাই বলছে ইতোপূর্বে যতগুলো জনসভা হয়েছে এতবড় আর হয়নি। তিনি আরও বলেন, পলোগ্রাউন্ডের জনসভা হবে সর্বকালের সর্ববৃহৎ- এ নিয়ে কেউ কেউ শঙ্কা প্রকাশ করেছিল। কিন্তু আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আরেকটি বিষয় হলো, রাঙামাটি, ফেনীসহ চট্টগ্রামের বাইরে থেকে অনেকে আসতে চেয়েছিল। আমরা নিষেধ করেছি। দায়িত্ব নিয়ে বলছি, একজনও চট্টগ্রামের বাইরে থেকে আসেনি। সবাই চট্টগ্রাম জেলার মানুষ। চট্টগ্রামবাসীর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। সমাবেশে কত লোক হয়েছে তা আমাদের চেয়ে আপনারাই ভালো জানবেন। আমরা মঞ্চে থাকায় মাঠের অবস্থা দেখেছি। বাইরে কত মানুষ ছিল সেটি বুঝতে পারি নাই।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা কাভার করতে গিয়ে সাংবাদিকদের পাস বিরম্বনা, প্রেস বক্সে চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের উপেক্ষিত করাসহ পুরো মহাসমাবেশের অব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাংবাদিকরা। ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি তপন চক্রবর্তী, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, সিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌসসহ সিনিয়র সাংবাদিকরা।
এ সময় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ এমপি, গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিরম্বনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
আ জ ম নাছির উদ্দীনও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, পলোগ্রাউন্ডের জনসভা দেশবাসীর কাছে সুন্দরভাবে আপনারা উপস্থাপন করেছেন। যদিও অনেক কষ্ট করেছেন। এমনকি পাস কার্ড না পেয়েও নাকি অনেকে কষ্ট করে জনসভা কাভার করেছেন। সাংবাদিকদের এমন কষ্টের জন্য আমরা দুঃখপ্রকাশ করছি। পাশাপাশি জনসভাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের মানুষকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে এজন্য আমরা নগরবাসীর প্রতি দুঃখ প্রকাশ করছি।
প্রধানমন্ত্রী জনসভা দেখে আবেগাপ্লুত এবং খুব খুশি হয়েছেন জানিয়ে আ জ ম নাছির বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টার দিয়ে কয়েকবার উপর থেকে নাকি দেখেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার, এমনকি সভাস্থল ত্যাগের পূর্বে ১০ মিনিটের বেশি আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। জনসভা নিয়ে বেশি খুশি হয়েছেন তিনি।
নাছির বলেন, চট্টগ্রামে পলোগ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসমাবেশে ২০ লাখেরও বেশি মানুষের উপস্থিতি হয়েছে। এটি একটি সফল জনসমাবেশ। সমাবেশে চট্টগ্রামের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিএনপি আগে পলোগ্রাউন্ডে সমাবেশ করেছে বলে পাল্টা হিসেবে পলোগ্রাউন্ডে আওয়ামী লীগও সমাবেশ করেছে তা কিন্তু নয়। রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও বিএনপিকে আমরা কখনো প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবি না। বিএনপি যেখানে জনসভার মঞ্চ করেছিল, আমরা তারও অনেক দূরে মঞ্চ বানিয়েছি। আমাদের জনসভায় বিএনপির চেয়ে কয়েকগুণ বেশি জনসমাগম হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী এমপি। উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান প্রমুখ।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর