ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় চট্টগ্রামে প্রস্তুত ৫১১ আশ্রয়কেন্দ্র

বিশেষ প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় চট্টগ্রামে জেলা ও উপজেলায় প্রস্তুত করা হয়েছে ৫১১টি আশ্রয়কেন্দ্র।  একই সঙ্গে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গঠন করা হয়েছে একটি পর্যবেক্ষণ টিম ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক মেডিকেল টিম।  মজুদ করা হয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণের শুকনো খাবার।
রবিবার (২৩ মে) জেলা প্রশাসন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।  জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক জানান, ‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।  ইতোমধ্যে জেলার আওতাধীন প্রত্যেক উপজেলা প্রশাসনকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।  এছাড়া উপকূলীয় এলাকায় প্রশাসনের উদ্যোগে চলছে সচেতনতামূলক মাইকিং’।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।  দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোর মধ্যে নিম্নচাপটি কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরের সবচেয়ে কাছে রয়েছে।  এর অবস্থান কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬১৫ কিলোমিটার দূরে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।  নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটে সাগর উত্তাল রয়েছে।  তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।  সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর