সীমান্তে ইয়াবা লুট : বসতবাড়িতে আগুন

কক্সবাজার প্রতিনিধি >>>
উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের পার্শ¦বর্তী হোয়াইক্যং কেরুনতলীতে ৭০ হাজার পিস ইয়াবা লুটের ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। এর জের ধরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ইতোমধ্যে কয়েকজনকে তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় সন্দেহের বশবর্তী হয়ে একটি বসতঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ইয়াবা ও মাদকের হাট নামে পরিচিত টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং কেরুনতলী খারাঙ্গারঘোনা নামক সীমান্ত এলাকা। নাফনদী সংলগ্ন এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষের আয়-ইনকাম হচ্ছে ইয়াবা ও মাদক। সেই হিসেবে প্রশাসনের নজরদারীও বেশি এই এলাকায়।
পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কেরুনতলী এলাকার অধিকাংশ লোকজন ইয়াবা ও মাদক ব্যবসায় সম্পৃক্ত, কিন্তু আসল তথ্য দিতে কেউ চায় না। যার কারণে প্রকৃত গডফাদাররা বারবার রয়ে যাচ্ছে ধরাছোয়ার বাইরে। বিশাল এক ইয়াবার চালান লুটের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটকপূর্বক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অনেকে এর সাথে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে বলে জানান তিনি।
কেরুনতলী খারাঙ্গারঘোনা এলাকার আবুল বশরের ছেলে আলী আকবর (৪৩) জানান, ইয়াবা লুটের ঘটনা নিয়ে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন গত বুধবার রাত ১১ টার দিকে তার বসতবাড়িটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। তার স্কুল পড়ুয়া মেয়ের কাপড়, বই, ব্যাগ পুড়ে যাওয়ায় স্কুলে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। শীতের দিনে ছোট ছেলে-মেয়েদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন ছাড়া কোনো উপায় নেই। তিনি এই লুটের সাথে সম্পৃক্ত নন বলে দাবি করেন।
সীমান্ত এলাকার লোকজন জানান, কেরুনতলী এলাকায় গুঁটিকয়েক ইয়াবা ও মাদক ব্যবসায়ীর কারণে পুরো গ্রামের মানুষ ভালোভাবে ঘুমাতে পারছে না। তারা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলাও মুশকিল বলে জানান এলাকাবাসী।

ডিসি/এসআইকে/ইউএমজে