ফটিকছড়িতে ভোররাতে বিপনি-বিতানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, জরিমানা-মামলা

মোহাম্মদ জিপন উদ্দিন, ফটিকছড়ি প্রতিনিধি >>>
ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে বিপনি-বিতান খোলার ব্যাপারে সরকারি নির্দেশনা থাকলেও দেশের বিভিন্ন স্থানে মরণব্যাধি করোনার প্রকোপ থেকে নিজের জীবন রক্ষার্থে বেশিরভাগ জায়গায় ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরা বিপনি-বিতানগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন।  একইভাবে উত্তর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি’র সাথেও উপজেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ বৈঠক করে ফটিকছড়ির বিপনি-বিতানগুলো বন্ধ রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেনয়।
কিন্তু ব্যবসায়ী সমিতির সিদ্ধান্তকে পাশ কাটিয়ে এবং সরকারি নির্দেশনা না মেনে দিনে ও রাতে দোকান মালিকরা দোকানের সামনে তালা দিয়ে ভেতরে রমরমা ব্যবসা করছিলেন।  প্রশাসনের নজর এড়াতে ভোররাতেই তারা খুলে বসে দোকান।  নেই কোনো সামাজিক দূরত্ব।  এমন অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ভোররাতেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।  এতে ১৪টি মামলা হয় ও ২ লাখ ৪০ হাজার ২’শ টাকা জরিমানা করা হয়।
আজ সোমবার (১৮ মে) ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে শুরু করে সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সায়েদুল আরেফিনের নেতৃত্বে ও ফটিকছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বাবুল আকতারের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।  এতে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখা ও সরকারি নির্দেশনা অমান্য করার কারণে মোট ১৪টি মামলা ও ২ লাখ ৪০ হাজার ২’শ টাকা জরিমানা করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সায়েদুল আরেফিন দৈনিক চট্টগ্রামকে বলেন, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার জন্য সরকারের নির্দেশনা ছিল।  কিন্তু তা না মেনে ভোর রাত থেকে ব্যবসায়ীরা দোকান খুলে ব্যবসা করার অপরাধে জরিমানা ও মামলা করা হয়।

ডিসি/এসআইকে/এমজেইউ