বান্দরবান প্রতিনিধি >>>
পার্বত্য জেলা বান্দরবানের থানচি উপজেলার সাঙ্গু নদীতে ডুবে ৯ম শ্রেণির এক ছাত্র নিখোঁজ হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৯ জুন) দুপুরে মাছ ধরার জাল নিয়ে নদী পারাপারের সময় ছেলেটি ডুবে যায়। এলাকাবাসী ও স্কুলের শিক্ষকরা অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান পায়নি। নিখোঁজ কিশোর স্থানীয় বলিপাড়া নিবেদিতা কুমারী মারিয়া ধর্মপল্লীতে পালপুরোহিত ফাদার হরি মাকারিও বাসায় থাকতেন। সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স জুনিয়র হাই স্কুলে ৯ম শ্রেণির ছাত্র অজয় ত্রিপুরা রুমা উপজেলার গ্যালেঙ্গা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আদিগা পাড়ার সুমন ত্রিপুরার ছেলে বলে জানা গেছে।
বলিপাড়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার অংসিংম্যা মারমা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ক্যসাউ মারমা জানান, নভেল করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি দিলেও দুই-একজন ছাত্রকে প্রতিষ্ঠানটি ছুটি দেয়নি। তাদেরকে ফাদারের বাসায় রান্নার কাজে রাখা হয়েছিল। শুক্রবার মোট ৪ জন ছাত্র সাঙ্গু নদীতে জাল নিয়ে মাছ ধরতে যায়। ঐ সময় নদীতে সাতার কাটতে গেলে অজয় ত্রিপুরা সাঙ্গু নদীতে ডুবে যায়।
বলিপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান জিয়াঅং মারমা জানান, শিক্ষার্থীকে ছুটি না দিয়ে প্রতিষ্ঠানে রাখা ঠিক নয়। যদি বাড়িতে বাবা-মায়ের সাথে থাকতো তাহলে আজকে এ ঘটনা হয়তো বা ঘটতো না। আমরা এই ঘটনায় মর্মাহত।
বলিপাড়া নিবেদিতা কুমারী মারিয়া ধর্মপল্লীর পাশে বাসিমোরগপাড়া কারবারী বারণা ত্রিপুরা জানান, সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স জুনিয়র হাই স্কুল হলেও সেখানে গরীব ছাত্র-ছাত্রীরা ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখার সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
বলিপাড়া বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল গণি জানান, কাগজে কলমে আমাদের স্কুলের ছাত্র হলেও অজয় ত্রিপুরা সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স জুনিয়র হাই স্কুল ছাত্র। নিবেদিতা কুমারী মারিয়া ধর্মপল্লীতে সিস্টার পুস্পকর্তার হেফাজতে থাকেন। তবে আমাদের স্কুল নভেল করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে।
থানচি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাইফুর উদ্দিন আনোয়ার ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সাঙ্গু নদীতে এক শিক্ষার্থীর নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ পেয়েছি। তার অভিভাবকেরা থানায় অভিযোগ দিলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
ডিসি/এসআইকে/আরএস