লামায় বন্য হাতির আক্রমণে নারী নিহত, ৪ বসতঘর তছনছ

বান্দরবান প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
পার্বত্যজেলা বান্দরবানের লামা উপজেলায় বন্যহাতির হামলায় আশ্রাফিয়া বেগম (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নারী নিহত হয়েছেন।  একই সময় বন্যহাতির পাল স্থানীয় কৃষকদের ৪টি বসতঘরও তছনছ করেছে।  মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার সরই ইউনিয়নের দূর্গম পাহাড়ি আন্দারী জামালপুর গ্রামের হিমছড়ি পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।  নিহত আশ্রাফিয়া বেগম আন্দারী জামালপুর গ্রামের বাসিন্দা সাহেব আলী তালুকদারের স্ত্রী।  বর্তমানে হাতিগুলো সরই ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী টংগাবতী পাহাড়ে অবস্থান করছে।  যে কোনো সময় আবারও হামলা করে জানমালের ক্ষতি করতে পারে বলে জানান স্থানীয়রা।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) ভোরগত রাতে ১০-১২ টির একটি বন্য হাতির দল গহীন পাহাড় থেকে উপজেলার সরই ইউনিয়নের আন্দারী জামালপুর গ্রামের হিমছড়ি পাড়ায় গিয়ে রাতভর তান্ডব চালায়।  এ সময় হাতির পালটি লাল মিয়ার বসতঘর, মানিক মিয়ার মাছের খামার ঘর ও সেলিমের খামার ঘর ভাঙচুর করে।  পরে ভোর ৪ টার দিকে হাতিগুলো সাহেব আলী তালুকদারের বসতঘরে ভাঙচুর শুরু করে।  এক পর্যায়ে ঘরের লোকজন প্রাণ বাঁচাতে অন্যত্র আশ্রয় নিতে যাওয়ার সময় হাতির কবলে পড়েন তালুকদারের স্ত্রী আশ্রাফিয়া বেগম।
ক্ষতিগ্রস্ত লাল মিয়া ও সেলিম জানান, গত কয়েক দিন ধরে হাতিগুলো দিনের বেলায় পাহাড়ে অবস্থান করে আবার অন্ধকার নেমে আসলে লোকালয়ে হামলে পড়ে।  এতে এলাকার মানুষ নির্ঘুম রাত কাটানোর পাশাপাশি চরম আতঙ্কে থাকেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ উল আলম বলেন, গত কয়েক দিন ধরে ১০-১২ টির একটি বন্য হাতির দল একের পর এক ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে চলেছে।  সর্বশেষ মঙ্গলবার ভোর রাতে হামলা চালিয়ে সাহেব আলীর স্ত্রীকে আঁচড়ে মেরে ফেলে এবং কৃষকের ৪টি বসতঘর ভাঙচুর করে।  হাতির হামলার বিষয়ে বন বিভাগ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও থানাকে জানানো হয়েছে।  হাতির দলটি বর্তমানে এলাকার সীমান্তবর্তী টংগাবতী পাহাড়ে অবস্থান করছে।
এ বিষয়ে লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম কায়চার বলেন, বন্যহাতির হামলায় এক বৃদ্ধা নিহত ও বসতঘর ভাঙচুরের ঘটনা শুনেছি।  ক্ষতিগ্রস্তদের বন বিভাগের পক্ষ থেকে বিধি মোতাবেক ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।  পাশাপাশি এলাকাবাসীর সহায়তায় হাতিগুলোকে গহীন পাহাড়ে সরানোর ব্যবস্থা করা হবে।

ডিসি/এসআইকে/এসপিআর