কোকেন জব্দের মামলায় আরও দুইজনের সাক্ষ্যগ্রহণ

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক>>>
চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেনের চালান জব্দের ঘটনায় মাদক আইনে দায়ের হওয়া মামলায় বন্দরের পার্সোনাল অফিসার (আইআর) আলতাফ হোসেনসহ দুইজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।  এ পর্যন্ত এই মামলায় মোট ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।
রোববার (১৪ মার্চ) দুপুরে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন।
মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী  জানান, কোকেন মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী চট্টগ্রাম বন্দরের পার্সোনাল অফিসার আলতাফ হোসেনসহ দুই জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।  তিনি জব্দ তালিকার সাক্ষী।  আলতাফ হোসেনের সামনে কন্টেইনার ও ড্রাম খুলে আলামত সংগ্রহ এবং সিলগালা করা হয়েছে।  এছাড়াও রিয়াজ উদ্দিন খান নামের একজন সাক্ষী দিয়েছেন।  তিনিও একটি জব্দ তালিকার সাক্ষী।  আগামী ১৮ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত।
২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল চাঞ্চল্যকর এ মামলায় ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।  এর আগে এই ১০ জনকে আসামি করে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট জমা দেওয়া হয়।  এরপর ওই বছরের ১৯ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত প্রথম দফায় চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল।
অভিযুক্ত ১০ জন হলেন- আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ ও তার ভাই মোস্তাক আহম্মদ, কসকো-বাংলাদেশ শিপিং লাইন্সের ব্যবস্থাপক এ কে এম আজাদ, সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মেহেদী আলম, সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, আবাসন ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল, প্রাইম হ্যাচারির ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা সোহেল, পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, লন্ডন প্রবাসী চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ফজলুর রহমান ও মৌলভীবাজারের বকুল মিয়া।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আলোচিত এ মামলার ১০ আসামির মধ্যে বর্তমানে ২ জন আসামি (খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেল ও মেহেদী আলম) কারাগারে আছেন।  বাকিদের মধ্যে খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ ও তার ভাই মোস্তাক আহম্মদসহ ৪ জন পলাতক ও ৪ জন জামিনে আছেন।
২০১৫ সালের ৬ জুন নগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এস এম তানভির আরাফাতের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোকেন সন্দেহে চট্টগ্রাম বন্দরে সূর্যমুখী তেলের চালান জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।  এরপর ২৭ জুন তেলের চালানের ১০৭টি ড্রামের মধ্যে একটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। বলিভিয়া থেকে আসা চালানটির প্রতিটি ড্রামে ১৮৫ কেজি করে সূর্যমুখী তেল ছিল। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের রাসায়নিক পরীক্ষাগারসহ চারটি পরীক্ষাগারে তেলের চালানের দুটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়।

ডিসি/এসআইকে/এমএনইউ