লালখান বাজারকে শহীদ নগর করার প্রস্তাব চসিকের সভায়

লালখান বাজার ওয়ার্ডে অবস্থিত বাটালি হিল। ফাইল ছবি

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত লালখান বাজার। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে চট্টগ্রামের সবচেয়ে বেশি মানুষ হত্যা করা হয় এই লালখান বাজারে।  যে কারণে এলাকাটির নাম ‘শহীদ নগর’ নামকরণের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের।  স্বাধীনতা যুদ্ধের পর কেটে গেছে ৫০টি বছর।  ১৯৯৪ সালে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রথমবার মেয়র থাকাকালে এলাকাটির নাম শহীন নগর করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।  কাউন্সিলরদের সর্বসম্মতক্রমে নেয়া সে প্রস্তাব মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়। কিন্তু অদৃশ্য কারণে লালখান বাজার আর শহীদ নগর হয়ে ওঠেনি।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) চসিকের ৬ষ্ঠ পরিষদের ১১তম সাধারণ সভায় লালখান বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল হাসনাত বেলাল আবারও লালখান বাজারকে শহীদ নগর নামকরণের প্রস্তাবনা দেন।  এতে সম্মতি জানান কাউন্সিলর আনজুমান আরাসহ অন্যান্য ওয়ার্ড কাউন্সিলররা।
জানা যায়, সাধারণ সভার বৈঠকে এ প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে তাতে সায় দিয়েছেন মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। শহীদ নগর করার বিষয়ে আইনগত কোনো বাধা না থাকলে লালখান বাজার ওয়ার্ডকে স্ট্যান্ডিং কমিটির মাধ্যমে প্রস্তাবনা পাঠাতে কাউন্সিলরদের পরামর্শ দেন মেয়র। এরপর এ প্রস্তাব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
লালখান বাজার এলাকার কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল বলেন, ‘চসিকের সাধারণ সভায় লালখান বাজার ওয়ার্ডের নাম শহীদ নগর করার প্রস্তাব দিয়েছি। এতে কাউন্সিলররা সম্মতি দিয়েছেন। আমরা দ্রুত লালখান বাজারের নাম যাতে শহীদ নগর হয় সে উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি’।
স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তিরা জানান, যুদ্ধচলাকালে চট্টগ্রামের সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ড হয়েছিল লালখান বাজার এলাকায়। সে সময় কত জনকে নির্মমতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল তার সঠিক হিসাব জানা যায়নি। তবে প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্য মতে, এ সংখ্যা দুই হাজারের বেশি। ইতোমধ্যে সেসময়ে স্মৃতি ধরে রাখতে মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম সেখানে প্রতিষ্ঠিত করেছেন শহীদ নগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। চানমারী রোডে অবস্থিত স্কুলটি পরিচালনা করছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।

ডিসি/এসআইকে/আরসি