টানা লকডাউনে সুফল মিলছে কক্সবাজার পৌর-এলাকায়

ফারুক রিয়াদ, কক্সবাজার থেকে >>>
দেশের রেড জোন ঘোষিত কক্সবাজার পৌরএলাকায় বাড়ানো লকডাউনে সুফল মিলছে।  কমে এসেছে সংক্রমণের হার।  আগামি ৩০ জুন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে চলমান লকডাউন।
দেশের করোনা আক্রান্ত এবং মৃত রোগীর সংখ্যায় এগিয়ে থাকায় সারাদেশের রেড জোন ঘোষিত এলাকায় কক্সবাজার শহর অন্যতম।  জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত ৬ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত জোন ভিত্তিক লকডাউন শুরু হয়।  কিন্তু ঢিলেঢালাভাবে চলা এই লকডাউনে কোনো মতেই থামিয়ে রাখা যাচ্ছিল না আক্রান্তের হার।  তাই সংক্রমণ কমানোর লক্ষ্য দ্বিতীয় ধাপে ৩০জুন পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন।  নেয়া হয় কঠোর পদক্ষেপ।  আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর পাশাপাশি ওয়ার্ড পর্যায়ে গঠন করা হয় স্বেচ্ছাসেবক টিম।  মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন স্হানীয় জনপ্রতিনিধিরাও।
গত ২০ জুন পর্যন্ত জেলায় মোট রোগীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৯৬৪ জন এবং মৃত্যু ৩২ জন।  এরমধ্যে কক্সবাজার শহরের ছিলেন ১৫ জন।  আক্রান্তের হার গত ৬ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত ১৫ দিনে ছিলো সবচেয়ে বেশী।
রেড জোন ঘোষণার দ্বিতীয় মেয়াদে আরো ১০ দিন বাড়ানোয় সুফল মিলতে শুরু করেছে শহরে।  অনেকাংশেই নেমে এসেছে আক্রান্তের হার, কমেছে মৃত্যুও।  গতকাল ২৩ জুন (মঙ্গলবার) কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ১১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়।  এরমধ্যে কক্সবাজার শহরের আছেন মাত্র ৩ জন।
স্হানীয়দের মতে, মানুষের সচেতনতা, স্বেচ্ছাসেবকদের কঠোর পরিশ্রম, প্রশাসনের নিয়মিত নজরদারি এবং কঠোরতায় এমনটি হয়েছে।  শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক কালাম আজাদ দৈনিক চট্টগ্রামকে জানান, ওয়ার্ডভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করায় এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধি হয়েছে।  অপ্রয়োজনে কাউকে বাইরে ঘোরাঘুরি করতে দেয়া হয়নি।  লকডাউনের নিয়ম মানতে মানুষকে বাদ্য করা হয়েছে।  প্রয়োজনে বাঁধা নিষেধ মানতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাহায্য নেয়া হয়েছে।

ডিসি/এসআইকে/এফআর