দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
চট্টগ্রাম শহর থেকে বোয়ালখালী উপজেলার গ্রামে গিয়ে অবস্থান করা দুটি পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সোমবার (৬ এপ্রিল) বোয়ালখালীর চরখিদির পুর ও মধ্যম শাকপুরা এলাকায় দুই বাড়ির ওই দুই পরিবারকে এই নির্দেশনার দেওয়ার পাশাপাশি তাদের বাড়িতে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়।
পরিবার দুটি চট্টগ্রাম শহরের কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির প্রতিবেশী ও সহকর্মী ছিলেন বলে এলাকাবাসীর কাছ থেকে জেনে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আছিয়া খাতুন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কালুরঘাট সংলগ্ন চরখিদিরপুর এলাকার বাসিন্দা এক যুবক নগরীর সুপারশপ ‘দি বাস্কেটে’ চাকরি করতেন। ওই সুপার শপের একজন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার তার সহকর্মীদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। কিন্তু তিনি বাড়িতে এসে অবাধে ঘোরাফেরা করছিলেন। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই যুবক ও তার পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়ে বাড়িতে লাল পতাকা টাঙানো হয়।
ইউএনও বলেন, ‘ওই যুবকের দাবি, তার সহকর্মীর কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার আগেই তিনি গত ২৯ মার্চ বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। তারপরও সতর্কতামূলকভাবে তাকে এবং পরিবারের সদস্যদের কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছি’।
মধ্যম শাকপুরা এলাকায় যে পরিবারটিকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তির প্রতিবেশী। দামপাড়া এলাকায় দু’জন কোভিড রোগী শনাক্তের পর লকডাউন করা হলে ওই এলাকা থেকে পরিবারটি গ্রামে চলে গিয়েছিল। ইউএনও আছিয়া বলেন, ‘এরাও অবাধে ঘোরাফেরা করছিল বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। তাদের দাবি নগরীতে তাদের বাসা হাইলেভেল রোডে। তবে তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাদেরও হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছি’।
গত ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামে প্রথম নভেল করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হন দামপাড়ার বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি ওমরা করে আসা তার স্বজনের সংস্পর্শে থাকলেও তথ্য গোপন করেছিলেন। কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ায় তার পরিবারের দুই ছেলেসহ তিন সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয় পরীক্ষার জন্য। পরীক্ষায় দুইজনের প্রতিবেদন নেগেটিভ হলেও এক ছেলের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়। ওই ছেলে আবার সুপার শপ দি বাস্কেটে কাজ করতেন। সেজন্য প্রতিষ্ঠানটির মালিক, ব্যবস্থাপকসহ ৭৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার দামপাড়ার পাঁচটি ভবন লকডাউন করে দেওয়া হয়। এছাড়াও নগরীর সুপারিওয়ালা পাড়ায় একটি ভবন, সাতকানিয়া ও চন্দনাইশে তাদের স্বজনদের বাড়িও লকডাউন করে দেয় প্রশাসন।
ডিসি/এসআইকে/এসএজে